Onion Price Hike: ফের আকাশছোঁয়া হতে চলেছে পেঁয়াজের দাম, মাথায় হাত পড়বে মধ্যবিত্তের!
দিন দিন অগ্নিমূল্য হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দ্রব্য। সবজি থেকে মাছ-মাংস, মশলাপাতি থেকে শুরু করে চাল ও ডাল- সবকিছুর দাম বাড়ছে দিনের পর দিন। আর এই বিষয়টি এখন শুধুমাত্র বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে হচ্ছে না, বছরের সব মাসেই এভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছবিটা ধরা পড়ছে গোটা দেশে। পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব যে বিভিন্ন সামগ্রীর পরিবহনে পড়ছে, তা মোটামুটি পরিষ্কার। একইসঙ্গে রয়েছে বাড়তে থাকে মুদ্রাস্ফীতি। আর এই সবকিছু মিলিয়ে যেন খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে মধ্যবিত্তদের কাছে।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে তো বাংলার বুকে এই চিত্রটা আরো পরিষ্কার হয়ে গেছে। মাসখানেক আগেই বাংলার বিভিন্ন বাজারে কাঁচালঙ্কা বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা অবধি দামে। কিছুদিন আগে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিল টমেটোর দাম। এখনো রাজ্যের বেশিরভাগ বাজারে টমেটো রয়েছে অগ্নিমূল্য। তবে এবার এই মূল্যবৃদ্ধির আওতায় পড়তে চলেছে পেঁয়াজ। কাঁচালঙ্কা, টমেটোর পর এবার পেঁয়াজ অগ্নিমূল্য হতে চলেছে রাজ্যের বাজারে। তাই এবার সাধারণ মানুষের হেঁসেলে যে আরো একবার টানাপোড়েন।
এই বিষয়ে বিশ্লেষকদের মতামত অনুযায়ী আগামী মাসেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ এবার হেঁসেল সামলানো মুশকিল হতে চলেছে মধ্যবিত্তদের কাছে। এই অনুযায়ী হিসেব করলে ডেলহ যাচ্ছে যে, বর্তমানে রাজ্যের বাজারে যে পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, আগামী মাসে তা বেড়ে প্রতি কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা হয়ে যেতে পারে। আর আজ ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়তে চলেছে গোটা দেশে, এমনটাই মতামত বিশ্লেষকদের।
উল্লেখ্য, এই মূল্যবৃদ্ধির পিছনে অনেকেই অনেক কারণকে সামনে এনেছেন। কারো মতে, এভাবে পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে সামগ্রী পরিবহনের খরচ বাড়ছে। তার জন্যই এই লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি। অনেকেই আবার এটিকে আড়তদারদের কারচুপি বলেও দাবি করছেন। আবার অনেকের মতে পরিবহনের সময় পুলিশের টাকা নেওয়ার ফলে জিনিসের দাম একটু একটু করে বাড়ছে। তবে পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধি সর্বোচ্চ ১৫ দিন থেকে ২০ দিন বজায় থাকবে বলে জানা গেছে।