Lokkhir Bhandar: এই মাস থেকেই বাড়বে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা, ভোটের আগে বড় নির্দেশ নবান্নের
বাংলার গৃহবধূদের মুখে হাসি ফোটাতে, তাদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lokkhir Bhandar) প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার গঠন করার পর থেকে একের পর এক প্রকল্প শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সব প্রকল্পগুলির মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বিশেষ করে জনপ্রিয়তা পেয়েছে রাজ্যের মহিলাদের মধ্যে। আর জনমানসে এই প্রকল্পের প্রভাব দেখেই টাকার পরিমাণ আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
২০২১ সালে নতুন করে সরকার গঠন করে এই প্রকল্প শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত রাজ্যের মহিলাদের কথা ভেবেই এই প্রকল্প চালু করেন তিনি। পরিবারের মহিলাদের আর্থিক ভাবে স্বাধীন করে তুলতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অবতারণা। বিগত দু বছর ধরে গোটা রাজ্যের বহু মহিলা এই প্রকল্পের জোরে লাভবান হয়েছেন। এই প্রকল্পে মাসে ৫০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন জেনারেল কাস্টের মহিলারা। আর তফসিলি জাতি ভুক্ত মহিলাদের জন্য ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। এই টাকার পরিমাণ সম্প্রতি ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছিল ১২০০ টাকা। আর যারা ৫০০ টাকা করে পেতেন তারা পাবেন ১০০০ টাকা। আগামী এপ্রিল মাস থেকেই বাড়ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এর ভাতা।
এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সরকারের তরফে করা হল বিশেষ ঘোষণা। ভাতা বাড়ানো হয়েছে এই প্রকল্পে, তার প্রচার করার নির্দেশ এল নবান্নের তরফে। গ্রামে গ্রামে এ বিষয়ে প্রচার করতে হবে। কীভাবে প্রচার পর্ব চলবে সে বিষয়ে জেলা শাসকদের সুস্পষ্ট গাইডলাইন দিয়ে দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। বিভিন্ন জায়গায় হোর্ডিং, ব্যানার লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মাইকিং করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হলেই বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে মাইকিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি মাইকে কী বলা হবে সেই অডিও পর্যন্ত দিয়ে দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জেলাশাসকদের পাঠানো হয়েছে ভিডিও বার্তাও।
বিভিন্ন মহলে মনে করা হচ্ছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকেও প্রচার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধরছে রাজ্য সরকার। এদিকে মার্চ মাসেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ্যে আসার কথা রয়েছে। আর তা হলে আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রচার করা যাবে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব হোর্ডিং এবং মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার পর্ব শুরু করার জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে জেলাশাসকদের।