8th Pay Commission: পেনশনভোগীদের জন্য সুখবর আসবে নতুন বছরে! ক্ষতিগ্রস্তরাও পাবেন এই বাড়তি সুবিধা
২০২৩ সালের শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য একের পর এক সুখবর আসছে সরকারের তরফে। বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের DA অর্থাৎ, মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি করা হয়। এই জুলাই থেকেই সেই বর্ধিত DA-র লাভ পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। কেন্দ্রের সপ্তম কমিশনের অধীনে বাড়ানো হয় আরো বেশ কিছু ভাতার পরিমান। তার মধ্যে পেনশনভোগীদের জন্য ডিআর বৃদ্ধিও ছিল। এরপর কেন্দ্রের দেখাদেখি বেশ কিছু রাজ্যেও রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA ও বেতন বৃদ্ধি হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘভাতার হার ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে ডিএ-র হার সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ দ্বারা নির্ধারিত হয়। পূর্ববর্তী বেতন কমিশনও সুপারিশ করেছিল যে মূল্যস্ফীতির প্রভাব নিরপেক্ষ করার জন্য DA বা DR ৫০ শতাংশ বা তার বেশি বেসিক বেতনে পৌঁছলে ভবিষ্যতে বেতন সংশোধন করা উচিত। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কি অষ্টম বেতন কমিশন গঠন করতে চলেছে? এই প্রশ্নটা উঠছে।
এর মাঝেই এক ৬৮ তম সম্মেলন করলো ভারতন পেনশন সমাজের পক্ষ থেকে। দেশের ২১টি রাজ্যের ২২৫টি পেনশন সংগঠন দিল্লির এই সম্মেলনে যোগদান করেছিল। আর এই সব থেকেই বেশ কয়েকটি প্রস্তাব নেওয়া হয়। পাশাপাশি, দেশের বেতন সচিবকে এই বিষয়ে চিঠিও লেখা হয়। তাদের দাবি মোতাবেক, সরকারকে নিয়মিত হারে বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। যদিও এর জন্য নতুন বেতন কমিশনের দাবি তারা জানাচ্ছেন না। বোরিং চলতি বেতন কমিশনেই বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন তারা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সপ্তম বেতন কমিশন চালু করে কেন্দ্র সরকার। তারপর থেকেই সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের দাবি মেনে নেওয়া হয়। সেই মোতাবেক, এক অর্থবর্ষে দুবার ডিএ বাড়ানোর দাবি মেনে নেওয়া হয়। তবে ডিএ বাড়ানো হলেও সেটি মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সমতুল হচ্ছে না বলে দাবি জানাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। একইসঙ্গে করোনাকালীন সময়ের বকেয়া ডিএও প্রদান করেনি সরকার। এর ফলে দেশের ৮০ শতাংশ বেতনভোগী ও পেনশনভোগী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তথ্য পেশ করেছে একাধিক সংগঠন।