Vastu Tips: বাড়িতে এই জিনিসটি পোড়ালেই বদলে যাবে চাকুরীভাগ্য, সফলতা পদচুম্বন করবে
ভারতের প্রাচীন শাস্ত্রের মধ্যে অন্যতম হল বাস্তুশাস্ত্র। শুধু ভারতে নয়, গোটা এশিয়া ভূখণ্ডে এখনো বহুলভাবে প্রচলিত এই শাস্ত্র। বাস্তুশাস্ত্রে মূলত গৃহসজ্জা এবং তার বিভিন্ন রীতিনীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। কোন জিনিস বাড়ির কোথায় রাখলে বাড়ির উপর ইতিবাচক শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পাবে বা কোন জিনিস কোন দিকে রাখলে তার প্রভাব হবে মারাত্মক, তা বিস্তারিত আলোচনা করা হয় বাস্তুশাস্ত্রে। জীবনে এর জীবন্ত প্রভাব বর্তমান। তাই অনেকেই মেনে চলে বাস্তুশাস্ত্র।
বাস্তুশাস্ত্রে কর্পূর হল একটি ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। কারণ কর্পূর হল এমন একটি জিনিস যা ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে যে কারো। এদিকে হিন্দুধর্মে কর্পূর হল একটি অত্যন্ত সাধারণ জিনিস। বিভিন্ন পূজার সময় কর্পূরের ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন সুগন্ধি তৈরিতেও ব্যবহার হয় কর্পূর। পাশাপাশি খাবারকে সুগন্ধি করে তুলতেও কর্পূর দেওয়ার রীতি রয়েছে। তবে এগুলি ছাড়াও কর্পূরের বেশ কিছু গুনাগুন রয়েছে, যা বাস্তুশাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। দেখে নিন বাড়িতে কোথায় কর্পূর রাখলে মিলবে সুফল।
কর্পূর পোড়ানোকে শুভ বলে মনে করা হয়। টুই বাড়িতে সুখ ও শান্তি বিঘ্নিত হলে কর্পূর পোড়ালে তা মারাত্মকভাবে কাজ করে। বাস্তুশাস্ত্র মতে, এক টুকরো কর্পূরকে গোলাপ ফুলে মুড়ে সেটিকে দেবী দুর্গার সামনে পোড়ালে বাড়িতে শান্তি ফিরে আসে। এছাড়াও রোজ সন্ধ্যায় কর্পূর পোড়ালে বাড়ি থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। এছাড়াও সকাল ও সন্ধ্যাবেলায় কর্পূরের প্রদীপ প্রজ্বলন করলে বাড়ি থেকে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব দূর হয়। এছাড়াও রান্নাঘরে লবঙ্গ ও কর্পূর একসাথে রেখে পোড়ালে সেই পরিবারের সদস্যদের চাকরির দিক থেকে সফলতা আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
তবে শুধু পোড়ানো নয়, কর্পূরকে বাড়ির নানা জায়গায় রাখলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। বাস্তশাস্ত্রে বলা আছে যে, বেডরুমে কর্পূর রাখলে এটি দাম্পত্য জীবনকে আরো বেশি সুখকর হতে পারে। এক্ষেত্রে দম্পতির মধ্যে মানসিক ও শারীরিক সম্পর্কও দৃঢ় হয়। এক্ষেত্রে বিছানা বা বালিশের নীচে কর্পূর রাখতে হয়। এছাড়াও আলমারিতে কর্পূরের টুকরো রাখলে সেই বাড়িতে মা লক্ষ্মীর কৃপা বর্ষিত হয়। এক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যাও দূর হয়। বাড়িতে সমৃদ্ধি ফিরে আসে দ্বিগুন হয়ে। পাশাপাশি, মানিব্যাগে কর্পূর রাখার উপকারিতা: মানিব্যাগেও কর্পূরের টুকরো রাখা যায়। এটি করলেও অর্থাভাব দূর হয়। কর্মজীবনে আসে সফলতা।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্য ও অনুমানের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। কুসংস্কারকে প্রচার করা আমাদের অভিপ্রায় নয়।