Lifestyle: স্বামীর কাছে গোপনে যে জিনিসগুলি কামনা করে প্রতিটি স্ত্রী
বিয়ে (Marriage) অত্যন্ত পবিত্র একটি সম্পর্ক। স্বামী স্ত্রী সাত জন্মের বন্ধনে জড়ান, একে অপরের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেন সুখে এবং দুঃখে। কিন্তু প্রতিটি সম্পর্কেই যেমন উত্থান পতন থাকে, তেমনি বৈবাহিক সম্পর্কেও তা থাকা স্বাভাবিক। অনেক সময়ই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদের কারণ হয় পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি। স্ত্রী মুখ ফুটে স্বামীকে মনের কথা বলতে চান না। তারা চান স্বামী নিজে থেকেই মনের কথা বুঝে নিক। এদিকে স্বামী তা বুঝতে অপারগ। তা থেকেই ঝগড়া, অশান্তি, মনোমালিন্য। তাই স্ত্রীকে খুশি রেখে সম্পর্কের বুনিয়াদ মজবুত করতে মেনে চলুন এই কয়েকটি সহজ নিয়ম।
স্ত্রীর মতামত শুনুন- একটি সম্পর্ক তখনি তৈরি হয় যখন দুটো মানুষ সেই সম্পর্কে জড়ান। তাই দুজনেরই মতামত সেখানে সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সবসময় স্ত্রীর মতামতটাও শোনা উচিত। তিনি কী চাইছেন সেটা শোনা, তার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়াও জরুরি। দুজনে মিলে একটি সিদ্ধান্তে আসলে সম্পর্ক থাকতে মজবুত।
স্ত্রীকে প্রাধান্য দেওয়া- প্রতিটি স্ত্রীই তার স্বামীর কাছ থেকে গুরুত্ব, প্রাধান্য পাওয়ার আশা রাখে। স্বামী সেটা দিলেও অনেক সময় তা প্রকাশ করতে পারেন না। এতেও ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। কথায়, আচরণে স্ত্রীর প্রতি গুরুত্বটা প্রকাশ পেলে সম্পর্ক আরো মধুর হয়।
সংসারের কাজ ভাগ করে নেওয়া- স্ত্রী মানে তাকেই সংসারের সব কাজ সামলাতে হবে একা হাতে, এমনটা নয়। সংসার যেহেতু দুজনের, তাই দুজনকেই সংসারের কাজে হাত লাগানো উচিত। স্বামী যেমন সারাদিন বাইরে খেটেখুটে বাড়িতে ফেরেন, তেমনি স্ত্রীও সারাদিনের কাজের পর ক্লান্ত হয়ে থাকেন। তাই তখন স্বামী নিজে উদ্যোগী হয়ে স্ত্রীকে সাহায্য করেন তাহলে স্ত্রীও মনে মনে খুশি হবেন। সংসার জীবনও হবেন সুন্দর।
স্ত্রীকে ঘুরতে নিয়ে যান- স্ত্রী যদি সারাক্ষণ বাড়িতে বন্দি হয়ে থাকেন তাহলে তার মনও একটু বাইরে ঘুরতে যাওয়ার হতে পারে। তাই স্ত্রীকে নিয়ে একটু ঘুরে এলে তারও মন ভালো থাকবে।
সারপ্রাইজ দিন স্ত্রীকে- বিশেষ তারিখগুলি নাকি পুরুষরা ভুলে যান, এমন অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। এই অভিযোগ পালটে দিয়ে বিশেষ দিনগুলিতে সারপ্রাইজ দিয়ে স্ত্রীকে চমকে দিন। সম্পর্কে নতুনত্ব থাকবে।