Gas Cylinder: সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস বেঁচে আছে! বাইরে থেকে বুঝে নিন এই সহজ উপায়ে
আজকাল প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতেই ব্যবহার করা হয় রান্নার গ্যাস। তাই এটিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। গ্যাস ছাড়া আজকাল কোথাও রান্নাবান্না হয়না। শহর এলাকায় তো বহুদিন ধরেই গ্যাসের ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে আজকাল মফঃস্বল থেকে গ্রামীন এলাকা- সব জায়গার প্রতি বাড়িতেই কমবেশি রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় এলপিজি। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের উজ্জ্বলা যোজনা রান্নার গ্যাসকে প্রতিটি মানুষের নাগালের মধ্যে এনে দিয়েছে। তাই আজকাল সবাই রান্না করে থাকেন গ্যাসের আগুনেই।
তবে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করার আগে কিছু জিনিস মাথায় রাখা জরুরি। কারণ তা না হলে একদিকে যেমন হবে লোকসান, তেমনই অন্যদিকে ঝুঁকিও বেড়ে যায় ব্যাপকভাবে। কারণ রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগার ঘটনা প্রায়ই উঠে আসে খবরের কাগজের পাতায়। তাই অত্যন্ত সাবধানের সঙ্গে রান্নার গ্যাস ব্যবহার করা উচিত। এক্ষেত্রে নিয়মিত গ্যাসের নব বন্ধ করা থেকে শুরু করে নিয়মিত এটিকে পরিষ্কার করা এবং যত্নে রাখাটাও জরুরি।
তবে আমরা অনেক সময় সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস বেঁচে রয়েছে, তা নিয়ে টেনশনে থাকি। বিশেষ করে রান্নাঘরের দায়িত্বে থাকা মহিলারা এই বিষয়টি নিয়ে টেনশনে থাকেন। কারণ এমন কোনোদিন, যেদিন বাড়িতে অতিথির আগমন ঘটেছে এবং যেদিন বাড়তি রান্নার পরিকল্পনা থাকে, সেদিন যদি গ্যাস শেষ হয়ে যায়, তাহলে তাদেরকেই মুশকিলে পড়তে হয়। এজন্য অনেকেই সিলিন্ডার ব্যবহার শুরুর আগে সেই তারিখটি ক্যালেন্ডারে দাগ দিয়ে রাখেন। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই সেটি আবার হয়ে ওঠেনা।
তবে এর জন্য বাড়িতেই করা যায় একটি ট্রিক, যার মাধ্যমে সিলিন্ডারের বাইরে থেকে বোঝা যায় যে সেই সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস অবশিষ্ট রয়েছে। এলপিজি গ্যাস বাতাসের থেকে ভারী হওয়ার কারণে এটি সর্বদা সিলিন্ডারের নীচে জমে থাকে। এবার সিলিন্ডারটিকে প্রথমে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। একটু পরেই দেখা যাবে সিলিন্ডারের উপরের অংশ শুকিয়ে গেলেও নিচের কিছুটা অংশ ভেজা রয়েছে। আর এটি থেকেই বুঝে নিতে হবে যে ভেজা অংশ অবধি গ্যাস এখনো অবশিষ্ট রয়েছে সিলিন্ডারে।