Hair Care Tips: চুল পড়ার সমস্যায় জেরবার? আজই খাবারের তালিকায় রাখুন এই ৫টি সুপারফুড
কি কি খাবার আমাদের শরীরের জন্য ভালো, আর কি কি খাবার আমাদের শরীরের জন্য খারাপ আমরা সেটা খুব সহজেই বুঝতে পারি। কিন্তু আমাদের চুল ভালো রাখার জন্য বা আমাদের ত্বক ভালো রাখার জন্য কিছু কিছু বিশেষ খাবার আছে যেগুলো আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে। তাই আর দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় দেখে ফেলুন কি এমন পাঁচটি খাবার যা খেলে আমাদের চুল পড়া খানিকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
১) প্রথমেই যে খাবারটি নাম করতে হয় সেটি হল বাদাম। কখনোই বেশি দামি খাবারের দিকে যাবে না। যাদের পক্ষে সম্ভব নয় আখরোট, পেস্তা অথবা আরো দামী বাদাম কেনার তারা কিন্তু চিনাবাদামের উপরেই ভরসা করতে পারেন। প্রতিদিন দুটো করে কাজু বাদাম আর একমুঠো সমস্ত বাদাম ভালো করে মিলিয়ে মিশিয়ে যদি স্ন্যাক্সের মত করে খেতে পারেন, তাহলে কিন্তু আপনার শরীরে পুষ্টি যাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে যাতে আপনার চুল ওঠা অনেকটা পরিমাণ কমে যাবে।
২) চুল ভাল রাখতে সব সময় লাল রঙের ফল বা শাকসবজির দিকে নজর রাখতে হবে। আপনার ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ বা ডিনার এ যেন অন্তত একটি পরিমাণে লাল রঙের ফল শাকসবজি থাকে বুঝতে পারলেন না একটুখানি বুঝেনি। ব্রেকফাস্ট, স্যালাদের সঙ্গে গাজর এবং টমেটো নিতেই পারেন। তারপরে একটি বেদানা, অথবা লাল রঙের আপেল খেতে পারেন। দুপুরবেলা লাঞ্চ এর সঙ্গে টমেটো খেতে পারে। এছাড়া লালশাক অনায়াসে খেতে পারেন, খেতে পারে গাজর সুপ। রাতে বিট গাজরের কোন রেসিপি বা সালাদের সঙ্গে অনায়াসে খেতে পারে এই ধরনের লাল শাক সবজি।
৩) চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে ডিম। যারা আমিষ আহার করেন তারা প্রতিদিন একটি হাফ বয়েল ডিম খেতে পারেন ডিম। ডিমের কুসুম কিন্তু চুলকে বাড়তে এবং চুলকে ভেতর থেকে মজবুত করতে সাহায্য করে, তবে যাদের অ্যালার্জি আছে তারা কোনোভাবেই খাবেন না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না।
৪) চুল বাড়তে সাহায্য করে কারিপাতা। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যদি গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে গ্রীন টির সঙ্গে কয়েকটা কারিপাতা ফুটিয়ে অথবা আলাদা করে কারিপাতা ফোটানো জল মাঝেমধ্যেই পান করতে পারেন, এটি আপনার শরীর থেকে টক্সিন ফ্লাশ করতে সাহায্য করবে, যার ফলে চুল ভালো থাকবে।
৫) ভালো রাখতে সাহায্য করে যারা প্রতিদিন নিয়মিত যোগাভ্যাস করেন, যারা শীর্ষাসন করতে পারেন। তাদের কিন্তু চুল সত্যিই খুব ভালো থাকে। কিন্তু যাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়, তারা নিয়ম করে অনুলোম বিলোম করতে পারেন, এছাড়া আমাদের নখের নিচের অংশ দুটো হাত দিয়ে যদি ভালো করে ঘষতে পারেন, তাহলেও কিন্তু আমাদের মাথার সার্কুলেশন বেশি হয়। আর যার ফলে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে যায় যার জন্য চুল পড়া বন্ধ হয়।