Hoop News

মৃত্যুর আগের রাতেও ডায়েরি লিখেছিলেন তিলোত্তমা, কি লেখা ছিল তাতে? আরজিকর কাণ্ডে বড় আপডেট

তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে সরব গোটা রাজ্য। আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (RG Kar Medical College Hospital) তরুণী চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের নৃশংস ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। একটানা প্রতিবাদে সোচ্চার জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের সঙ্গে সুর চড়িয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসক, আইনজীবী সহ শিল্পীরাও। এই মামলায় তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে আরজিকর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। এর মাঝেই এই মামলায় এল বড় আপডেট।

উদ্ধার হয়েছে ‘তিলোত্তমা’র লেখা ডায়েরি। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ডায়েরি। তিলোত্তমার মা জানিয়েছেন, নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন তাঁর মেয়ে। জীবনের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়মিত ডায়েরিতে লিখে রাখতেন তিনি। এমনকি ওই রাতেও নাকি তিনি ডায়েরি লিখেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ডায়েরিটি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিলোত্তমার জিনিসপত্রের মধ্যে একটি ডায়েরি ছিল। সঙ্গে ছিল একটি লুজ পাতা। সমস্তই সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই খোলা পাতায় তিলোত্তমা লিখে রেখেছিলেন, বাবা মাকে কীভাবে ভালো রাখতে চান তিনি। অন্যদিকে নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, সেই রাতের ঘটনার কিছুদিন আগে থেকে নাকি নাইট শিফট করতে চাইতেন না তিলোত্তমা। নেপথ্যে কী ছিল কারণ তাও ওই ডায়েরিতে তিনি লিখে রাখতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তরুণী চিকিৎসকের বাবা বলেন, এই ঘটনার নেপথ্যে একটি বড় চক্র কাজ করছে বলে ধারণা তাঁদের। কিন্তু তা কী সেটা তাঁরা জানেন না। বাবা মাকে চিন্তায় না ফেলার জন্য কখনো তা বলেননি তিলোত্তমা।

উল্লেখ্য, এই মামলায় এখনো পর্যন্ত সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আর কারা যুক্ত রয়েছেন সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওআই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা যাচ্ছে।

Related Articles