Summer Holiday: বর্ষা আসার নাম নেই, অসহনীয় গরম এড়াতে স্কুল ছুটি নিয়ে বড় আপডেট
সময়টা জুনের মাঝামাঝি। বাংলা ক্যালেন্ডার বলছে, আষাঢ় মাস পড়ে গিয়েছে। কিন্তু বঙ্গে এখনো বর্ষার দেখা নেই। উত্তরবঙ্গে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করলেও দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি (Summer Holify)। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই উষ্ণতার পারদ চড়ছে পাল্লা দিয়ে। এপ্রিল মাস থেকেই যে গরম পড়তে শুরু করেছে, জুনের মাঝামাঝি এসেও তার থেকে নিস্তার পায়নি দক্ষিণবঙ্গবাসী। এই গরমের মধ্যেই স্কুল কলেজ যেতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের।
আগেই পড়েছিল ছুটি
প্রায় গোটা বাংলা জুড়েই তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই পড়ে গিয়েছিল গরমের ছুটি। মে মাসের বদলে ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসা হয় ২২ এপ্রিল। মাঝে ঝড় বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় ক্ষতির প্রসঙ্গ তুলে ফের স্কুল খোলার দাবি রাখা হয়েছিল। কিন্তু সে সময়ে কোনো সরকারি নির্দেশ মেলেনি। তবে পরবর্তীকালে নির্দেশ মেনেই ৩ রা জুন খোলা হয় রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলি। তবে এদিন থেকে স্কুল খোলে শুধুমাত্র শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্যই। ১০ ই জুন থেকে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শুরু হয়েছে নিয়মিত ক্লাস।
গরম কমার নাম নেই
কিন্তু গরমের ছুটি শেষ হয়ে স্কুল খুলে গেলেও তীব্র গরমের কারণে স্কুলে যেতে চাইছে না বহু ছাত্রছাত্রীই। অভিভাবকেরাও চাইছেন না ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে। প্রচণ্ড গরমের জন্য অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থীরা। চিকিৎসকরা গরম এড়ানোর পরামর্শ দিলেও তা সম্ভব হয়ে উঠছে না। অথচ এমন পরিস্থিতিতে ফের স্কুলে ছুটি দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানানো হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে। এতে ছাত্রছাত্রীদের পঠন পাঠনে বড় ক্ষতি হবে।
নতুন পড়াশোনা সূচী
এমতাবস্থায় তাই স্কুল ছুটি না দিয়েও কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য রক্ষা করা যায় তেমন বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজছে শিক্ষা দফতর। জুন মাসের বাকি দিনগুলিতে নয়া সূচী মেনে স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন চলতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে রাজ্যের মধ্যশশিক্ষা পর্ষদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদক পাঠানো হয়ৈছে অ্যাডভাইজরি।