কী ঘটেছিল সেই অভিশপ্ত রাতে! আরজিকর কাণ্ডে সিসিটিভি ফুটেজে ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য
আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (RG Kar Medical College) তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়ে রয়েছে রাজ্য। বছর ৩১ এর তরুণী চিকিৎসকের উপরে শারীরিক নির্যাতন এবং নৃশংস খুনের ঘটনায় প্রতিবাদে মুখর শহর কলকাতা থেকে জেলা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন কলকাতা পুলিশের একজন প্রভাবশালী সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর নাকি অবাধ যাতায়াত ছিল আরজিকর হাসপাতালের মধ্যে। কিন্তু তাঁর গ্রেফতারির পরেও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। সঞ্জয় রায় কি একাই দোষী, নাকী আড়াল করা হচ্ছে আরো কাউকে? এর মাঝেই সেই রাতের কিছু ঘটনা ফাঁস হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে।
লালবাজার সূত্রে খবর, আরজিকর হাসপাতালের সেমিনার হলে, যেখানে ওই তরুণী চিকিৎসক বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন, সেদিন ভোর রাত ৪ টে থেকে সাড়ে ৪ টের মধ্যে ঘটানো হয়েছিল ওই নৃশংস ঘটনা। তরুণী চিকিৎসক গভীর ঘুমে থাকাকালীন তাঁর উপরে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। তদন্ত থেকে অনুমান করা হচ্ছে, তরুণী চিকিৎসক গভীর ঘুমে থাকাকালীন প্রথমটা কিছু ঠাহর করতে পারেননি। তারপরেই আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন তিনি। তখনই তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এদিন লালবাজারের তরফে আরো বলা হয়েছে, খুন করার পরেই সম্ভবত ধর্ষণ করা হয় তরুণী চিকিৎসককে।
হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় সেমিনার হলে ঢুকেছিলেন রাত ৩ টের পরে। প্রায় ৪৫ মিনিট পর বাইরে বেরোতে দেখা যায় তাঁকে। এমনকি তাঁর কানের হেডফোনও ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, হামলার সময়ে আত্মরক্ষার জন্য যতখানি প্রতিরোধ করা স্বাভাবিক ততটা তিনি করেননি। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, হামলার সময়ে সাহায্যের জন্য কি চিৎকারও করেননি ওই তরুণী চিকিৎসক?
আরো প্রশ্ন উঠছে, তরুণী চিকিৎসক যে সেমিনার হলে রয়েছেন তা অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় জানলেন কী করে? তবে কি চিকিৎসকের গতিবিধি নজরে রেখেছিলেন তিনি? অনেকেই দাবি করছেন, এমন নৃশংস ঘটনা একা কারোর পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। অনেকেই অনুমান করছেন, সঞ্জয়ের সঙ্গে আরো কেউ জড়িত রয়েছে এই ঘটনায়। এখনো তদন্ত চলছে এই ঘটনায়।