বছর শেষে দুঃসংবাদ অভিনেতার পরিবারে। পিতৃহারা হলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Chowdhury)। মঙ্গলবার পিতৃবিয়োগের খবর নিজেই জানালেন অভিনেতা। লিখতে গিয়েও যেন কিছুই লিখতে পারলেন না অভিনেতা। বাবাকে হারিয়ে তিনি একপ্রকার দিশেহারা।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতার বাবা রাধাগোবিন্দ চৌধুরী। জানা গেছে, গত ২ সপ্তাহ ধরেই ওই হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। বার্ধক্যজনিত কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি, এমনটাই জানা গেছে। সেই থেকেই সেরিব্রাল স্ট্রোক হয়। এই খবর অভিনেতা নিজেই জানিয়েছিলেন ফেসবুকে। তিনি একটি পোষ্টে লিখেছিলেন, ‘কয়েকটা দিন হলো, বাবা হাসপাতালের বিছানায় অচেতন। চোখের জলে আমাদের বুক ভেসে যায়, আর প্রার্থনা করি, আমার বাবা সুস্থ হয়ে উঠুক। বাবা-মাকে হাসপাতালের বিছানায় রেখে কোনো সন্তানই ভালো থাকতে পারে না। আমিও ভালো নেই’। কিন্তু মঙ্গলবার রাতেই শেষ হল সবটা। একের পর এক সেরিব্রাল স্ট্রোকের কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর পৈতৃক বাড়ি বাংলাদেশের পাবনার সুজানগর উপজেলার কামারহাটে। সেখানেই রয়েছে তাদের আদি ভিটেমাটি। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে রাধাগোবিন্দ চৌধুরীর। জানা যায়, সেখানে দুলাল মাস্টার বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। কারণ তিনি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষক।তাই এলাকার মানুষের আবেগও রয়েছে এই দুলাল মাস্টারকে ঘিরে। এককথায় পিতৃবিয়োগের শোকে আচ্ছন্ন গোটা গ্রাম। শিক্ষক তো আর পিতার থেকে কম হননা কোনো অংশে।
মঙ্গলবার রাতে পিতৃবিয়োগের কথা নিজেই ঘোষণা করেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। তবে সেই পোস্টেও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন অভিনেতা। ‘বাবা…’ ছাড়া আর কিছুই লিখতে পারেননি তিনি। যদিও এই বিষয়ে বিস্তারিত জানান অভিনেতার এক বন্ধু। শেহনাজ খুশি নামের একজন ফেসবুকে লেখেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের প্রিয় বন্ধু চঞ্চল চৌধুরীর বাবা, সন্ধ্যা ৭:৫০ মিনিটে, ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে, ইহ জগতের মায়া ত্যাগ করেছেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। চঞ্চল এবং তার পরিবার যেন এ শোক কাটিয়ে উঠতে পারে তার জন্য প্রার্থনা করি। চঞ্চলের বাবার শেষকৃত্য, তার নিজ গ্রামের বাড়ি পাবনার কামারহাটে সম্পন্ন হবে।’