whatsapp channel
Finance News

সরকারি চাকরি না থাকলেও অবসর জীবন কাটবে নিশ্চিন্তে, আকর্ষণীয় সুদে ধামাকা অফার এই স্কিমে

প্রবীণ নাগরিকদের (Senior Citizens) জন্য সর্বত্র কিছু বিশেষ সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। এমনকি নানান সরকারি প্রকল্পও থাকে শুধুমাত্র বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের কিছু বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য। অবসর জীবনে ঠিকঠাক পেনশন পাওয়া নিয়ে যাতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয় তার জন্য রয়ছে একাধিক স্কিম। শুধু জেনেশুনে, বুঝে সঠিক স্কিমটা বেছে নেওয়ার পালা। এমনি কিছু স্কিমের সুযোগ সুবিধা নিয়ে এই প্রতিবেদনে রইল বিস্তারিত তথ্য।

অবসর জীবন যাতে নিশ্চিন্ত হয় তার জন্য প্রায় সকলেই সময় থাকতে টাকা জমাতে শুরু করে। এই রিটায়ারমেন্ট ফান্ড অবসর জীবনে মূল সহযোগী হয়ে ওঠে মানুষের। তবে এই রিটায়ারমেন্ট ফান্ড সময় থাকতে কোনো না কোনো প্রকল্পে বিনিয়োগ করা জরুরি। এর থেকে সময়ে সময়ে যেমন সুদ পাওয়া যায় তেমনি টাকার পরিমাণও বাড়ে। ছোট সঞ্চয় প্রকল্পের অধীনে সিনিয়র সিটিজেন সেভিং স্কিম এমনি একটি স্কিম। এখানে সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা সম্ভব। এই প্রকল্পে সুদের হার ৮.২ শতাংশ। মেয়াদ পাঁচ বছর এবং ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায় এই স্কিমে।

আগে এই স্কিমে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের সীমা ছিল ১৫ লক্ষ টাকা, যা এখন বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ১০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যেতে পারে। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সুদ দেওয়া হয় এই স্কিমে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ভাইয়া বন্দনা যোজনাও একটি ভালো স্কিম। এখানে সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ এবং সর্বনিম্ন ১.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা যায়। বার্ষিক ৭.৪ শতাংশ সুদ দেওয়া হয় এই স্কিমের অধীনে। এখানে কর ছাড় দেওয়া হয় না ঠিকই, তবে এই স্কিমের অধীনে ঋণ নেওয়া সম্ভব।

পোস্ট অফিস মাসিক আয় প্রকল্পের অধীনেও বিনিয়োগ করা যেতে পারে। এখানে সর্বোচ্চ ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। সুদ পাওয়া যায় ৭.৪ শতাংশ এবং মেয়াদ পাঁচ বছর। বয়স ৫০ এর অধিক হলে সিনিয়র সিটিজেন এফডি স্কিমে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। তবে ব্যাঙ্ক ভিত্তিতে বিভিন্ন মেয়াদে সুদের হারে হেরফের হয়।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই