Pension Scheme: সরকারি এই স্কিমে ২০০ টাকা জমিয়েই মাসে পান ৫০ হাজার টাকার পেনশন
কর্মজীবনের পর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরেও আসে বার্ধক্যজনিত ক্লান্তির ছাপ। সেই সময় কাজের বিষয়ে আর সক্রিয়তা থাকেনা। এই বয়সটিকে অনেকেই অবসর জীবন বলে থাকেন। এই অবসর জীবনে এসে সিংহভাগ মানুষের উপার্জন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তখন ছেলে বা মেয়ের উপর নির্ভরশীল হওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না। কারণ তখনো তো আর খরচ থেমে থাকে না। তবে সেটি যাতে না হতে হয়, সেজন্যই রয়েছে পেনশন ব্যবস্থা।
বিগত দশক অবধি দেশের সরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের পর পেনশন দেওয়া হত। বিভিন্ন বেসরকারি ক্ষেত্রেও বিষয়টি চালু ছিল। তবে এমন অনেকেই আছেন যারা এইসব স্থানে স্থায়ীভাবে কর্মরত নন। তাহলে তাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে উপার্জনের একটা চিন্তা থেকেই থাকে। তবে তাদের জন্যও রয়েছে বিভিন্ন পেনশন স্কিম বা পেনশন পলিসি। এমনই একটি সরকারি পেনশন স্কিম হল NPS বা ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। ২০০৯ সাল থেকে এই স্কিমটি সমস্ত শ্রেণীর মানুষের জন্য চালু করা হয়েছিল। এই পেনশন স্কিমের অধীনে, বিনিয়োগকারীরা ৬০ বছর বয়সের পর মোট জমার পরিমাণের ৬০% তুলতে পারেন এবং অবশিষ্ট ৪০% অর্থ পেনশন স্কিমে যায়। এছাড়াও বিনিয়োগকৃত অর্থের ওপরও কর ছাড় দেওয়া হয় এই স্কিমে। এখন একনজরে দেখে নিন যে কিভাবে এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
এই স্কিমে যেকোনো নাগরিক তার ইচ্ছেমতো বিনিয়োগ করতে পারবেন না। NPS-এ বিনিয়োগের সীমা হল ৬,০০০ টাকা। যদি ন্যূনতম সীমা বিনিয়োগ না করা হয়, তাহলে অ্যাকাউন্টটি ফ্রিজ করা হয় এবং তারপর অ্যাকাউন্টটি ডিফ্রিজ করার জন্য ১০০ টাকা জরিমানাও দিতে হবে। ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করতে, যেকোনো NPS পেনশন ফান্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করতে হবে। এতে প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ঠিকানা প্রমাণ ইত্যাদির মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কিত নথি দিতে হবে।
NPS-এর পেনশনের যোগ্যতা বয়স সীমা ৬০ বছর রাখা হয়েছে। এখানে এই বিওয়টিও খেয়াল রাখা দরকার যে NPS-এ কমপক্ষে ১০ বছর বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ, যে ব্যক্তি ৬০ বছর বয়সে এখানে রেজিস্ট্রেশন করবেন তাকে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত NPS-এ টাকা জমা দিতে হবে। তারপরই তিনি পেনশন পাবেন। এখন, একজন ২৫ বছর বয়সী বিনিয়োগকারী যদি এই পেনশন স্কিমে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে জমা দেন তাহলে, ৬০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণের সময় হিসাবমতো ঐ ব্যক্তি ৫০ লক্ষ টাকা পাবেন। এর সাথে ৮ শতাংশ গড় বার্ষিক রিটার্ন ধরলে প্রতিমাসে ঐ ব্যক্তি ৫০ হাজার টাকা পাবেন।