whatsapp channel

Chumki Chowdhury: ইন্ডাস্ট্রির মানুষগুলো বদলে গিয়েছে: চুমকি চৌধুরী

মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar) পরবর্তী সময়ে প্রায় ভেঙে পড়েছিল বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কাঠামো। কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন একাধিক কলাকূশলী। সেই সময় প্রায় বিনা চিকিৎসায় প্রয়াত হয়েছিলেন বহু কূশীলব। অনাহারে দিন…

Avatar

Nilanjana Pande

মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar) পরবর্তী সময়ে প্রায় ভেঙে পড়েছিল বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কাঠামো। কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন একাধিক কলাকূশলী। সেই সময় প্রায় বিনা চিকিৎসায় প্রয়াত হয়েছিলেন বহু কূশীলব। অনাহারে দিন কাটাতেন অনেকে। বাংলা সিনেমার অস্থির পরিবেশে আবির্ভাব হয়েছিল অঞ্জন চৌধুরী (Anjan Chowdhury)-র। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান অঞ্জনবাবু একরকম সকলের বিরোধিতা করে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেন। ধীরে ধীরে ফিল্ম প্রযোজনা শুরু করেন তিনি। একসময় অঞ্জনবাবুর হাত ধরে একাধিক নতুন প্রতিভার আগমন ঘটে। তালিকায় ছিলেন তাঁর জ্যেষ্ঠ কন্যা চুমকি চৌধুরী (Chumki Chowdhury)-ও। তবে চুমকির প্রতি অঞ্জনবাবুর কড়া নির্দেশ ছিল, তাঁর প্রযোজনা সংস্থা ছাড়া অন্য কোনও প্রযোজনা সংস্থায় কাজ করবেন না চুমকি।

বাংলা ফিল্মের দর্শকদের একাধিক হিট ফিল্ম উপহার দিয়েছিলেন চুমকি। কিন্তু বাবার নির্দেশ পালন করেছিলেন অক্ষরে অক্ষরে। চুমকি বরাবর ঘরোয়া। ফলে বিয়ের পর ধীরে ধীরে অন্তরালে চলে গেলেও সম্প্রতি বাংলা ধারাবাহিকে ফিরেছেন তিনি। যদিও চুমকি অভিনীত নতুন ধারাবাহিক ‘দ্বিতীয় বসন্ত’-এর ভবিষ্যৎ অন এয়ার হওয়ার আগেই বিশ বাঁও জলে। তবে চুমকি যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত ছিলেন নিজের কামব্যাক নিয়ে। ‘দ্বিতীয় বসন্ত’-এ তাঁর চরিত্র এক গৃহবধূর। তবে একসময় তিনি শাশুড়ির ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেও যথেষ্ট আধুনিক মানসিকতাসম্পন্ন হয়ে ওঠেন। চুমকি অবশ্য মনে করেন, টেলিভিশন বর্তমানে আর্থিক সহায়তাও করছে শিল্পীদের। বাড়ছে উপার্জন।

কিন্তু চুমকির মতে, মূল ধারার বাংলা মুভিতে দেখা দিয়েছে খরা। টেলিভিশনে একের পর এক ধারাবাহিক অন এয়ার হচ্ছে। তুলনামূলক ভাবে ফিল্মের সংখ্যা যথেষ্ট কম। দু-এক বার চুমকির কাছে বাংলা ফিল্মের প্রস্তাব এলেও তিনি স্বীকার করলেন, কিছু সমস্যার কারণেই সেই সময় প্রস্তাবগুলি গ্রহণ করতে পারেননি তিনি। চুমকির মতে, ইন্ডাস্ট্রিতে বোধহয় একটি লবি তৈরি হয়েছে যেখান থেকে বাঁধাধরা কয়েকজন শিল্পী উঠে আসেন।

দীর্ঘদিন পর কামব্যাক করেছেন চুমকি। হারিয়েছেন তাঁর কাছের মানুষদের। চলে গিয়েছেন মা। সম্প্রতি চুমকি হারিয়েছেন তাঁর ভাই সন্দীপ চৌধুরী (Sandip Chowdhury)-কে। কাজের মাধ্যমে কিছু সময়ের জন্য হলেও চুমকি ভুলে থাকতে চান তাঁর ব্যক্তিগত শোক। কাজ করতে গিয়ে বর্তমান প্রজন্মের সাথে তৈরি হয়েছে তাঁর সখ্যতা। তবে বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের শিল্পী চুমকি মনে করেন, ভালো কন্টেন্ট নিয়ে ফিল্ম বানালে নিশ্চয়ই মানুষ দেখবেন। তিনি নিজেও সম্প্রতি প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখেছেন ‘টনিক’, ‘প্রজাপতি’-র মতো ফিল্ম। তবে বদলে গিয়েছে ইন্ডাস্ট্রি। চুমকির চোখে বদলে গিয়েছেন মানুষজনও। সকলে বড্ড বেশি প্রফেশনাল হয়ে গিয়েছেন। ঘটছে আন্তরিকতার অভাব। তবু এই ইন্ডাস্ট্রিতেই প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে চান চুমকি চৌধুরী।

whatsapp logo