School Education: বই ছাড়াই চলছে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস! প্রশ্নের মুখে শিক্ষা দপ্তর
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বারবার প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও বেশ ইস্যুতের রাজ্যকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। এবার সমস্যা দেখা গেল অন্যদিকে, একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর মতন একটা গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণীতে সিলেবাসের বই নেই? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। জানা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি জায়গার এখনো পর্যন্ত পাঠ্য বই গিয়ে পৌঁছায়নি। তাহলে তাদের কে কিভাবে পড়ানো হচ্ছে? আপাতত পি ডি এফ ফাইল দিয়েই চলছে পড়াশুনা, কিন্তু গ্রামাঞ্চলে পি ডি এফ ফাইল দিয়ে কি সত্যি সত্যি পড়ানো সম্ভব? এই প্রশ্নও উঠছে।
নতুন শিক্ষাবর্ষে নতুন সিস্টেম অনুযায়ী চালু হয়েছে নতুন সেমিস্টার ব্যবস্থা। সিলেবাসেই এসেছে নানান রকম বদল। তাই নতুন বই ছাপাতে হচ্ছে নতুন করে। সরস্বতী এক্সপ্রেস ছাপানো হচ্ছে এই বই। এই এখনো অনেক স্কুলেতে পড়ার বই পৌঁছে যায়নি, তার ফলে সেখানে যাতে পড়াশোনার কোনো সমস্যা না হয়, পাঠানো হচ্ছে পিডিএফ ফাইল। বাংলা ও ইংরেজির বই এখনো সেই সমস্ত জায়গাতে পৌঁছায়নি, তাই বাধ্যই শিক্ষক শিক্ষিকারা পিডিএফ ফাইল এর মাধ্যমে পড়াচ্ছেন।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য একটু অসুবিধা হয়েছে,আসলে একটু অসুবিধা করেই পিডিএফ দিয়ে পড়াশোনা শুরু করানো হয়েছে মোটামুটি এখন আপাতত কাজ চালানোর জন্য। তবে প্রশ্ন কিভাবে পড়াশুনা করানো হচ্ছে? তার উত্তরে তিনি বলেন, সেখানেও একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে যেহেতু এখন সব জায়গাতেই স্মার্টফোনের ব্যবহার হয়েছে, তাই শুরুতে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
এই ইস্যু তে শিক্ষক সংগঠনগুলিও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। জুটা-র সেক্রেটারি- পার্থ প্রতিম রায় বলেন, গ্রামের স্কুলে বইয়ের বদলে পিডিএফ কখনও বিকল্প হতে পারে না। আর কবে সব পড়ুয়ারা বই হাতে পাবে, সেই উত্তর পাওয়া যায়নি।