রাজ্যের স্কুল শিক্ষাব্যবস্থায় আসবে আমূল পরিবর্তন! প্রাইমারি পড়ুয়াদের উপর কি প্রভাব পড়বে?

এবার রাজ্যের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থায় আসতে চলেছে পরিবর্তন, বদলে যাবে প্রাইমারি স্কুলের পরিকাঠামো। একবার প্রাইমারি স্কুলগুলিতে পঞ্চম শ্রেণীকে আনা হচ্ছে যার ফলে হাইস্কুল গুলির ওপর চাপ অনেকটাই কমে যাবে, তার ফলে পড়াশোনার মান অনেকটা উন্নত হবে। রাজ্যের বেশ কিছু স্কুলে এই ব্যবস্থা চালু হলেও সকল স্কুলে এই নিয়ম চালু করা এখনো সম্ভব হয়নি। রিপোর্টে উল্লেখ, প্রাথমিকভাবে ১৭ হাজার ৯৯৬টি প্রাইমারি স্কুলকে আপগ্রেড করা হবে। এবার রাজ্যের মোট ৪৯ হাজার প্রাথমিক স্কুলেই পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠনের অন্তর্ভুক্তি করণ। ২০২৫-র জানুয়ারি মাস থেকেই শুরু হয়ে যাবে এই প্রক্রিয়া। ৫ দফায় শেষ হবে পুরো প্রক্রিয়া।

বিদেশ গাজী সহ কয়েকজন প্রাথমিকের শিক্ষক হাইকোর্টে মামলা করেন। তারা অভিযোগ করছেন, NCTE গাইডলাইন মেনে অন্য অনেক রাজ্য ইতিমধ্যে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের আওতায় এনে দিয়েছে। তো এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যে এমনটা সম্ভব হয়নি এতদিনেও এ নির্দেশ কার্যকর করা যায়নি, হাইকোর্ট রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিল যে সুনির্দিষ্ট ভাবে এই কাজ করতে কতদিন সময় লাগবে। রাজ্যকে এই ব্যাপারে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে, তারপরই শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা জমা দিয়েছেন। রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে।

খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, রাজ্যের প্রায় ৩২ হাজার প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি যুক্ত করা হবে। ২০২৫ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে পাঁচ দফায় প্রাথমিক স্কুলগুলির পরিকাঠামো বাড়িয়ে, প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ করা হবে, এই কাজ করিয়ে দেওয়া হবে। প্রথম দফায় ২৩৩৫, দ্বিতীয় দফায় ১৭৭৫, তৃতীয় দফায় ২৯৬৬, চতুর্থ দফায় ১২,০০০ ও শেষ দফায় ১৩, ০০০০, ৯৩টি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের আওতায় আনা হবে।

রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, যে পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ৩২৬৫টি প্রাইমারি স্কুল আছে। তার মধ্যে এখনই ১৪টি প্রাইমারি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠনের ব্যবস্থা রয়েছে। সমস্ত স্কুলগুলির সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণীকে যুক্ত করা হলে হাই স্কুলের উপর চাপ অনেকটাই কমে যাবে, যার ফলে পঠন পাঠন অনেক ভালো হবে।