Business Idea: বাড়িতেই করুন এই লাভজনক চাষ, রোজগার হবে চাকরির থেকেও বেশি
করোনাকালীন সময়ের পর থেকেই দেশে দেখা দিয়েছে চাকরির আকাল। গত কয়েকবছরে দেশের বেকারত্বের পরিমান বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এর মাঝে চাকরি মিললেও সে অর্থে বেতন পাচ্ছেন না অনেকেই। বলা যায়, দৈনিক সর্বনিম্ন বেতনের থেকে কম পরিমানে বেতন পেয়ে চাকরি করছেন দেশের বহু যুবক-যুবতী। তাই এখন চাকরির পাশাপাশি দ্বিতীয় কোনো রোজগারের পথ খুঁজতে উদ্যোগী হচ্ছেন কমবেশি সকলেই। আর এক্ষেত্রে ছোটখাটো ব্যবসা বা চাষাবাদ করার কথা ভাবছেন অনেকেই।
এবার ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে অনেকের মনেই অনেক ভীতি কাজ করে। তাই এই অবস্থায় বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গা থাকলে সামান্য বিনিয়োগে লাভজনক কোনো চাষ করলেই কিন্তু ভালো টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। আর এক্ষেত্রে যদি কেউ এমন কথা ভেবে থাকেন, তাদের জন্য ‘কারী পাতা’র চাষ একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। উল্লেখ্য, ভারতকে মশলার দেশ তকমা দেওয়া হয় প্রাচীনকাল থেকেই। আর এই মশলার সম্ভারের মধ্যে কারী পাতা ‘মিষ্টি নিমপাতা’র পরিচয় পায়। তাই আজকাল শুধুমাত্র দক্ষিণ ভারতের নয়, উত্তর ভারতেও এই পাতার ব্যবহার বাড়ছে রান্নাবান্নার ক্ষেত্রে।
এই চাষ শুরু করা যায় বাড়ির ছাদে কিংবা বাড়ির পাশে অবস্থিত কোনো ছোট্ট ফাঁকা জায়গাতেও। তাই কারী পাতার চাষে বিনিয়োগ খুব কম পরিমানেই করতে হয়। প্রথমেই নার্সারি থেকে উন্নতমানের কারী পাতার গাছ কিনে আনতে হবে। এই উন্নতমানের গাছ কিন্তু প্রথম বছর থেকেই ভালো ফলন দেয়। তাই নার্সারি থেকে এমন গাছ কিনলে প্রথম বছর থেকেই উপার্জনের সুযোগ তৈরি হয়ে যাবে। এবার বড় টবে বা মাটিতে এই গাছ লাগিয়ে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে। নিয়মিত সার ও ৭ দিন অন্তর জল দিতে হবে গাছে। গ্রীষ্মকালে কিন্তু প্রতিদিন এই গাছ জল দিতে হবে। তাহলেই মোটামুটি ৬ মাসের পরেই গাছের পাতা তুলে সেটিকে বাজারজাতকরণ করা যায়।
এবার দেখুন যে এই ক্ষুদ্র চাষকে কেন লাভজনক বলা হচ্ছে। প্রথম বছরে ফলন খুব বেশি না হলেও পরের বছর থেকে কিন্তু ভালো ফলন পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে ৫ বছরের হিসেব করলে মোটামুটি ১০ হাজার কেজি কারি পাতা উৎপাদন হওয়া সম্ভব। এবার সেখান থেকে পাতা শুকিয়ে, সংরক্ষণ করে সেখান থেকে প্রায় ২ হাজার কেজি বিক্রির জন্য তৈরি করে যাবে। এবার এই পাতা বাজারে ১ হাজার টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে। তাই পাঁচ বছরে আপনার উপার্জন দাঁড়াবে মোটামুটি ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে মাসিক রোজগার থাকবে ২৫ হাজার টাকা।