Cyclone Remal: নদীবাঁধ ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় চিন্তিত সুন্দরবনবাসী
২০২১ সালের ২৬ শে মে ইয়াসর এই সুন্দরবনের মতনই আছড়ে পড়েছিল। ঠিক তার কয়েক বছর পরে ওই একই দিনে রবিবার রেমালের আছড়ে পড়ার কথাও কিন্তু সুন্দরবনের আশেপাশের অঞ্চলে। এখানে গোটা সুন্দরবন অঞ্চলে এখনো ইয়াসের ক্ষত ছিল ভিন্ন হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, সেখানে আবারো ওই স্মৃতিকে উসকে দিচ্ছে রেমাল। সুন্দরবনের এখনো অনেক জায়গাতেই নদী বাঁধ দেওয়া হয়েছে মাটির, আবার অনেক জায়গাতেই সেই নদী বাঁধ ইতিমধ্যে ভেঙেও পড়েছে, তাই ঘূর্ণিঝড়ের আগেই রীতিমতো আশঙ্কায় ভুগছেন সেখানকার গ্রামবাসীরা।
আরো চিন্তার বিষয় হলো রেমালের সঙ্গে আর একটা বিষয় মানুষকে ভীষণ চিন্তায় ফেলেছে সেটি হল ভরা কোটাল। এই সময় দুটোর জেরে একেবারে সুন্দরবনবাসীর অবস্থা ভীষণই উদ্বেগ জনক, কারণ সম্প্রতি মুড়ি গঙ্গার বাঁধে ধসের কারণে অনেক জায়গাতেই বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে, সেই জন্যই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কাকদ্বীপের, আর সাগরদ্বীপ এর কিছু অঞ্চলের বাসিন্দারা।
এ ছাড়া ঘোড়ামারা, মৌসুনি, সাগরের সুমতিনগর, বঙ্কিমনগর, নামখানার নারায়ণপুর, গোবর্ধনপুর গোসাবার কালীদাসপুর, চণ্ডীপুর, জটিরামপুর, পাখিরালায়-সহ বেশ কিছু জায়গাতেও নদী বাঁধের অবস্থা খুবই খারাপ। সবচেয়ে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে রয়েছেন ঘোড়ামারা দ্বীপের বাসিন্দারা। গোসাবা আর কিছু অঞ্চলে নদী বাঁধ এও মেরামতের কাজ শুরু হয়ে গেছে, সমস্ত সেচ দপ্তরে যারা চাকরি করেন তাদের ছুটিও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার রিমাল ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ সাগরের মধ্যেই শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আস্তে স্থলভাগের দিকে। ঘূর্ণিঝড় বেশ প্রবল আকার নিতে চলেছে রবিবার মধ্যরাতেই স্থলভাগে আশরে পরার কথা তবে আবহাওয়া দফতর থেকে জানিয়েছে, মধ্যরাতে নয় তার আগেই হয়তো ল্যান্ড ফল হবে রেমালের এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী অবশ্যই নাকি আছে পড়বে এই ঝড়টায় ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার। কোথাও কোথাও নাকি ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড় বইতে পারে।
এর আগেও আয়লা, আমফান, ইয়াস প্রভৃতি বিভিন্ন ঝড়ের মোকাবিলা করেছে, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের সীমানায় থাকার দীর্ঘ ম্যানগ্রোভ অরণ্য বা সুন্দরবন এইবারেও কি সেই সুন্দরবন এতটা ঝড়ের প্রকোপকে সহ্য করতে পারবে? আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে তান্ডব লীলা চালাবে এই ঘূর্ণিঝড় সাগর থেকে যতই স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসবে ততই তার ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি হবে। ক্যানিং থেকে আর মাত্র ২৮০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়।