Cyclone: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘তেজ’, বুধবার থেকেই প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা!
অভিশপ্ত মে মাসে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল বঙ্গোপসাগরের বুকে। গত মাসের ১৪ তারিখ বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের উপর দিয়ে অতিক্রম করেছিল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’। যার তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বাংলাদেশ এবং মায়ানমারে। ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ১৯০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ২১০ কিমি। এই ঝড়ের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়েছিল আস্ত সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশের একাংশ।
কিন্তু এই ‘মোকা’ বিদায় নেওয়ার এক মাসও হয়নি এখনো। এর মধ্যেই নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা তৈরি হল। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আবারো ভূমির দিকে ধেয়ে আসতে পারে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়, যার নাম ‘তেজ’। আগামীকালই দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। যা পরবর্তী কালে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার পরে তা ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে বলে আশঙ্কা।
■ ঘূর্ণিঝড় ‘তেজ’-এর গতিপ্রকৃতি: জাতীয় মৌসম বিভাগের তরফে যেমনটা জানানো হয়েছে, তাতে আগামী ৫ জুন অর্থাৎ সোমবার দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায়, অর্থাৎ ৭ জুন বুধবার সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার পরই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যার নাম হতে পারে ‘তেজ’।
■ ঘূর্ণিঝড় ‘তেজ’-এর ল্যান্ডফল: মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আরব সাগরে ৮ জুন থেকে ১০ জুনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘তেজ’ তৈরি হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় কেরালা উপকূলবর্তী এলাকায় এলাকায় ঘোরাফেরা করবে এবং সেখানেই এটি নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে অনুমান। এরপর উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে পারে সেটি। পরবর্তীতে তা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলে তার নাম হবে ‘তেজ’।
■ একাধিক রাজ্যে প্রবল দুর্যোগ: এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিম দিকের কয়েকটি রাজ্যে বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানা গেছে। এই ঘূর্ণাবর্ত উত্তরদিকে অগ্রসর হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পশ্চিমঘাটে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভাসতে পারে কেরালাও। ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বর্ষার পথে এই সাইক্লোন কোনওভাবে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কি না, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট ধারণা মেলেনি। ইতিমধ্যেই কেরালার আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে।