ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এসে হাজির সেই মে মাস। উপকূলীয় এলাকায় মানুষদের কাছে এই মাসটি যেন অভিশপ্ত। এই বিগত কয়েক বছরে এই মে মাসেই ভয়াবহ সব ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা। এই মা মাসেই প্রকৃতির তান্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়েছিল উপকূলীয় এলাকা। আইলা, লায়লা, ফনি, জাওয়াদ- সমস্ত বঙ্গোপসাগরীয় ঘূর্ণিঝড় এই সময়েই আছড়ে পড়ে মাটির উপর। আর এবছরও তেমনটাই হতে চলেছে।
রাজ্যে ফের সাইক্লোনের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়াবিদরা। যদিও এই বিষয় নিয়ে এখনো মুখ খুলতে নারাজ আলিপুর হাওয়া অফিস। তবে যেমনটা অনুমান করা যাচ্ছে, তাতে মে মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ আছড়ে পড়তে পারে মাটিতে। কিন্তু কোথায় কোথায় ঝড়ের প্রভাব পড়বে বা ঝড়ের গতিপথ কি হবে, সেই বিষয়ে এখনো স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
■ ঘূর্ণাবর্ত: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে দক্ষিণ পূর্ব ও দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিস্টেমের উপর নজর রাখা হচ্ছে। নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
■ ঘূর্ণিঝড়: ১২ মে-এর মধ্যে এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সেই ঘূর্ণিঝড় ১৪ মে থেকে ১৭ মে-এর মধ্যে বাংলাদেশ-এর চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন কুলের মাঝামাঝি স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। ঝড়ে গতিবেগ হতে পারে ১০০ কিমির উপরে। গতিবেগের সমন্ধে সঠিক ভাবে আবহাওয়া দফতর কিছু জানা যায়নি।
■ দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগ: আগামী ৪ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরবঙ্গের কমবেশি অনেক সব জেলাতেই ঝড়-বৃষ্টি হবে। ৫ তারিখের পর থেকে আবার দিনের তাপমাত্রা বাড়বে। তবে গরম বাড়লেও কলকাতাতে তাপমাত্রার পারা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও দমকা ঝড়ের সর্তকতা রয়েফাহে। বুধবার কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়। শিলাবৃষ্টির সতর্কতা থাকছে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। এদিকে উত্তরবঙ্গে আজ দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারের বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।