‘পদ্মশ্রী’ ভারতের অনন্য সম্মান। সম্প্রতি কঙ্গনা রাণাওয়াত (Kangana Ranaut) পেয়েছেন ‘পদ্মশ্রী’। কিন্তু ‘পদ্মশ্রী’ পাওয়ার পর একটি অনুষ্ঠানে কঙ্গনা ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে গর্হিত মন্তব্য করেছেন। এই মন্তব্যের জেরে এই মুহূর্তে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। উপরন্তু কঙ্গনার কাছ থেকে পদ্মশ্রী নিয়ে নেওয়ার আবেদন জানাল দিল্লীর মহিলা কমিশন।
সম্প্রতি পদ্মশ্রী পাওয়ার পর একটি অনুষ্ঠানে কঙ্গনা বলেন, 1947 সালে ভারতবর্ষ স্বাধীনতার নামে ভিক্ষা পেয়েছিল। কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা এসেছে 2014 সালে। ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে এই প্রকার গর্হিত মন্তব্য শোনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা। কঙ্গনার মন্তব্যের বিরোধিতা করে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind)-কে দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল (Swati Maliwal)। চিঠিতে কঙ্গনার পদ্মশ্রী কেড়ে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন স্বাতী। পাশাপাশি দেশদ্রোহের অভিযোগে কঙ্গনার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। অপরদিকে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে কঙ্গনা বেছে নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াকে। টুইটার থেকে তিনি ব্রাত্য হলেও কঙ্গনা ইন্সটাগ্রামে জানিয়েছেন, তিনি পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দিতে প্রস্তুত।
কিন্তু এর জন্য তাঁর কিছু শর্ত রয়েছে। ইন্সটাগ্রামে কঙ্গনা লিখেছেন, ওই সাক্ষাৎকারে সব কিছু পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর মতে, 1857 সালে প্রথমবার দেশ স্বাধীন হওয়ার জন্য একজোট হয়েছিল। একই সঙ্গে কঙ্গনা রানী লক্ষ্মীবাঈ (Queen Laxmibai), নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhashchandra Bose), বীর সাভারকর (Vinayak Damodar Sabharkar)-এর কথাও বলেছিলেন তিনি। কিন্তু 1947 সালে কোনো যুদ্ধ হয়েছিল কিনা তা জানেন না তিনি। যদি কেউ তা সম্বন্ধে তাঁকে অবগত করেন, তাহলে তিনি নিজের পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেবেন।
অপরদিকে স্বাতী মালিওয়াল রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে দাবি করেছেন, কঙ্গনার এই ‘ভিক্ষার স্বাধীনতা’ মন্তব্য কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভুল করে করা মন্তব্যও নয়। কঙ্গনা প্রায়ই এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এমনকি যাঁদের সঙ্গে কঙ্গনার মতবিরোধ হয়, তিনি তাঁদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে কঙ্গনা মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi), শহীদ ভগৎ সিং (Shaheed Bhagat Singh)-এর মতো বিপ্লবীদের অবমাননা করেছেন বলে দাবি করেছেন স্বাতী।
View this post on Instagram