DA Hike: খুশির খবর সরকারি কর্মচারীদের জন্য, এত শতাংশ বাড়ছে মহার্ঘ ভাতা

একদিকে রাজ্যে যখন DA নিয়ে অসন্তোষ রয়েই গেছে, অন্যদিকে তখনই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য এল সুখবর। চলতি বছরের শুরুতেই বড়সড় সুখবর এসেছিল। শুরুতেই মহার্ঘভাতা বেড়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারি চাকুরিজীবীদের। আর এবার বছরের মাঝেও সুখবর। এবার ফের DA বৃদ্ধি পেতে চলেছে। জুলাইয়ে মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির যে জল্পনা চলছিল, সেই জল্পনাতেই এবার পড়তে চলেছে সরকারি সিলমোহর।

জানা গিয়েছে সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে এই DA বৃদ্ধির বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। সূত্রের খবর, জুলাই থেকেই এই বর্ধিত হারে মহার্ঘভাতা পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। আর তাই বছরের মাঝামাঝি সময়েও যে তাদের জন্য এক বড়সড় খুশির খবর হতে চলেছে এটি। জানা গেছে, দেশের মুদ্রাস্ফীতির দিকে নজর দিয়ে সপ্তম বেতন কমিশনের পরামর্শেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেন ফেডারেশেনের সাধারণ সম্পাদক গোপাল মিশ্র বলেন, ‘২০২৩ সালের জুন মাসের অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স সদ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে আমাদের দাবি, সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করা উচিত। তবে মনে হচ্ছে, এই পরিসংখ্যানের নিরিখে তিন শতাংশের কিছু বেশি বৃদ্ধি পাওয়া উচিত মহার্ঘ ভাতা। এদিকে সরকার ডেসিমেল পয়েন্টে DA বাড়ায় না। তাই হয়ত তিন শতাংশই বাড়বে এবারে DA।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক গত কয়েকমাসের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স প্রকাশ করেছে। এই পরিসংখ্যানেই দেখস গেছে সূচকের ঊর্ধ্বগতি। এর ফলেই এবার মহার্ঘভাতা বাড়ানোর সিধান্ত সিলমোহর পড়তে চলেছে বলেই মতামত বিশেষজ্ঞদের। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চের অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স সূচক বেড়েছে ০.৬ পয়েন্ট। এর ফলেই নাকি AICPI বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৩.৩ পয়েন্টে। আর এই বৃদ্ধির ফলাফল সাধারণ মানুষের জনজীবনে পড়ছে বলেও জানা গেছে।

তবে শুধুমাত্র মার্চ নয়, এপ্রিলেও বেড়েছে এই অঙ্কটা। এপ্রিলে এই সূচক বেড়েছে ০.৭২ পয়েন্ট। এর জেরে এপ্রিলেই অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স বেড়ে হয়েছে ১৩৪.০২। তারপর মে মাসেও এই বৃদ্ধি জারি রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মে মাসে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স বেড়ে হয় ১৩৪.৭ পয়েন্ট, জুনে তো হয়েছে ১৩৬.৪। এর থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে জুলাই মাসে সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়তে পারে ৩ শতাংশ। ফলে এবার ৪২ শতাংশ থেকে DA বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫ শতাংশ হতে পারে।