“Dil Dooba Dil Dooba Neeli Aankhon Mein Yeh Dil Dooba” আগে এই গানটি শুনে নিন, মন ভালো হয়ে যাবে। চারিদিকে এত ‘ডুব’ ‘হ্যাশ’ ঘুরে বেড়াচ্ছে বলিউডে যে এত সুন্দর সুন্দর গান আছে সেগুলিই শোনা হচ্ছে না। ওহ! ‘ডুব’ কথাটি কোনভাবে কোন কথাতে এলেই দিপিকা-সারা-শ্রদ্ধা এই তিন বিশালাকার রমণীর কথাই এখন মাথায় আসছে। কি তাই তো? এনসিবি তাঁদের সাধ্য মত হয়তো এই প্রথমবার ভারতে মাদকের অনুপ্রবেশ নিয়ে ময়দানে নেমেছেন কিন্তু এই লড়াই সবে শুরু তা হয়তো অনেকেই বুঝে গেছেন। https://worldpoverty.io/map সমীক্ষা অনুসারে, ভারতে এই মুহূর্তে প্রায় ৫৩ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছেন। তাই তাঁদের কাছে ‘ডুব’ অপ্রাসঙ্গিক হলেও যাদের হাতে বিপুল অর্থ আছে তাঁদের কাছে ভারতের জনসংখ্যা কোন কাজের নয় এবং দারিদ্র সীমাও কোন কাজের নয়। যাইহোক আমরা ফিরে যাই দীপিকা প্রসঙ্গে।
মাদক-কান্ডে নাম জড়িয়েছেন বলিউডের দিপিকা-সারা-শ্রদ্ধা। এনসিবি-র জিজ্ঞাসাবাদে ইতিমধ্যে দীপিকা শিকার করে নিয়েছেন যে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের এডমিন তিনি নিজেই ছিলেন। তবে তিনি এও বলেছেন যে তিনি নিজে কখনো নিষিদ্ধ মাদক নেন নি। এই ব্যপারে এনসিবি-র কর্মকর্তারা বিস্তারিত জানতে চাইলে নিরুত্তর ছিলেন দীপিকা।
তাহলে ডুব কী? এই ব্যপারে এক দিল্লী পুলিশের কর্মকর্তা জানান ডুব হল হাতে প্রস্তুত এক ধরনের সিগারেট ৷ বাজারে বিক্রি হয় বিভিন্ন ধরনের সিগারেটের কাগজ , সেটি নিজে হাতেই প্রস্তুত করতে হয় এবং তারপরে ধূমপান করতে হয় ৷ এক বড় ধরনের নেশার ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ করা হয়ে থাকে ৷ এই নেশা যেকোনও ধরনের হতে পারে ৷ এটা তামাকের হতে পারে, হতে পারে কোকেনের বা অন্য মাদকের। আমরা বহু সেলিব্রিটিকে দেখেছি সিগারেটের নেশা করতে। কিন্তু তাঁরা কি শুধুই তামাক সেবন করেন নাকি গাঁজা নাকি অন্যকিছু? তবে ডুব সাধারণত কোকেনের ব্যবহারের জন্যই করা হয়ে থাকে। তামাকজাত সিগারেট বাজারে হামেশাই পাওয়া যায় কিন্তু ডুব হামেশাই পাওয়া যায় না। চোরা পথেই এই জিনিস আনাতে হয়।
বলিউডের বহু অভিনেত্রী হামেশাই ধূমপান করেন। যদি আজকের যুগে অনেকে ভাবেন যে রঙিন দুনিয়ার সব রস নেওয়ার পর বাড়িতে রোজ সকালে কোর এক্সারসাইজ অথবা যোগা করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে। এটাই করছেন। রাতের অন্ধকারে রঙিন দুনিয়ার নেশা আর ভোরের সূর্য ওঠার পাশাপাশি যোগা, এক্সারসাইজ, ডাবের জল, নিমের জল, স্যালাড আরও কত কি?