শুরু হয়ে গিয়েছে ভারত তথা এশিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তম ও জনপ্রিয় গেম শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অর্থাৎ ‘কেবিসি’-র তের নম্বর সিজন। সোনি টিভিতে সম্প্রচারিত হওয়া এই শোয়ের সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)-এর সামনে হট সিটে প্রত্যেক সপ্তাহের ‘শানদার শুক্রবার’ বসেন দুইজন সেলিব্রিটি। এর আগে এসেছিলেন ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’ সৌরভ গাঙ্গুলি (Sourav Ganguly) ও কিংবদন্তী বীরেন্দ্র সেহবাগ (Virendra Sehbag)। এবার অমিতাভের সামনে শো চলাকালীন কেঁদে ফেললেন দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone)।
সম্প্রতি ‘শানদার শুক্রবার’-এর বিশেষ পর্বে অমিতাভের সামনে হট সিটে বসেছিলেন ফারহা খান (Farha Khan) ও দীপিকা। শো চলাকালীন সেলিব্রিটিরা অমিতাভের সঙ্গে বিভিন্ন কথা শেয়ার করেন। অমিতাভ জীবন্ত কিংবদন্তী হলেও কোনোদিন তাঁর ব্যবহার বা শোয়ে তাঁর সঞ্চালনায় সেই ছাপ থাকে না। কখনও একজন অভিভাবক, কখনও একজন বন্ধুর মতো তিনি সকলের কথা শোনেন। এদিনও শো চলাকালীন হাসি-ঠাট্টার ফাঁকে উঠে এল দীপিকার মানসিক অবসাদ বা ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনের কথা।
অমিতাভ, দীপিকাকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি ‘কেবিসি’ থেকে কত টাকা জেতার আশা রাখেন এবং কিভাবে তা খরচ করতে চান! এই প্রসঙ্গে উঠে আসে দীপিকার মানসিক অবসাদের কথা। দীপিকা জানান, 2014 সালে তিনি তীব্র মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই মানসিক অবসাদ কাটিয়ে উঠতে তাঁর অনেকটা সময় লেগেছে। কিন্তু মানসিক অবসাদের মতো অসুখকে সমাজ এখনও পাত্তা দিতে চায় না। ফলে দীপিকা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তৈরি করেছেন। দীপিকার সংস্থা মানসিক অবসাদে জর্জরিত মানুষদের ভরসা যুগিয়ে, তাঁদের সুস্থ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে সাহায্য করেন। এমনকি ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনের বিষয়ে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে দীপিকার সংস্থা। এই কারণে ‘কেবিসি’ থেকে প্রাপ্ত অর্থ ওই সংস্থার কাজে দান করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
দীপিকার মানসিক অবসাদের প্রসঙ্গে ফারহা জানান, ওই সময় ফারহা পরিচালিত ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’-এর শুটিং করছিলেন দীপিকা। কিন্তু ফারহাও জানতেন না তাঁর মানসিক অবসাদের কথা। কারণ দীপিকা কোনোদিন কাউকে নিজের অবস্থা বুঝতে দেননি। এদিন নিজের কথা বলতে বলতে দীপিকার চোখ ভিজে উঠেছিল। নিজের পরিস্থিতির মাধ্যমে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন মানসিক অবসাদ কতটা ধ্বংসাত্মক। এই কারণে তিনি মানসিক অবসাদগ্রস্ত মানুষদের জন্য এই সংস্থা তৈরি করেছেন।