সালমান তখন সবে সবে বলিউডে পা রেখেছে। উঠতি বয়স, চোখে মুখে দুষ্টু হাসি। অন্যদিকে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র। বলিউডের সুপারস্টার তিনি, নাহ শুধু সুপারস্টার নন, তিনি একটা সময় বলিউডের গ্রীক গড ছিলেন। এবার একই মঞ্চে বলিউডের দুই হ্যান্ডসাম, মাইক হাতে কথা বলছেন ধর্মেন্দ্র, পাশে মাধুরী দীক্ষিত এবং ভাইজান। ঘটনাটি এখনকার নয়, নব্বইয়ের দশকের সময় টিপস ফিল্মসের এক মিউজিক লঞ্চ ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন এই দুই সুপুরুষ এবং অভিনেত্রী মাধুরী।
এই মিউজিক লঞ্চ ইভেন্টে ঘটে যায় একটি মজার ঘটনা। অনুষ্ঠানে লাল স্যুটে দেখা যায় ধর্মেন্দ্রকে এবং বেগুনি শার্ট এবং ডেনিম জিনসে দেখা মেলে তরুণ সালমানের। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় মাধুরী দীক্ষিত এবং অলকা ইয়াগনিককে। ব্যাস, অনুষ্ঠান শুরু। ধর্মেন্দ্রর হাতে মাইক্রোফোন। তিনি বলা শুরু করলেন, ‘আমাদের বিশ্ব সেরা মাধুরী দীক্ষিত’। এরপর ভাইজানের পরিচিতি দিতে গিয়ে বলেন, ‘সঙ্গে রয়েছে আমার ছেলে সুলেমন’। এই কথা বলা মাত্রই হাসির ধুম শুরু চারিদিকে। এমনকি তরুণ সালমান নিজেও হাসি চেপে রাখতে পারছিলেন না। তাও কোনো মতে কপাল চুলকে হাসি চেপে রাখেন তিনি।
View this post on Instagram
বক্তব্য শেষ হওয়ার পর ধর্মেন্দ্র বুঝতে পারেন যে তিনি সালমান নয়, সুলেমান বলেছেন। এই ভাবে ডাকার পরক্ষণেই অভিনেতা ধর্মেন্দ্র ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে সলমনকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করেন। তরুণ সালমান তখন কুল ভঙ্গিমায় পুরো ব্যাপারটা হাসতে হাসতে মিটিয়ে নেন।
প্রসঙ্গত, সলমন এবং ধর্মেন্দ্র ‘যব পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন এবং সেই ছবির মিউজিক লঞ্চের দিন উপস্থিত ছিলেন ওই মঞ্চে। সোহেল খানের প্রযোজনায় তৈরি এই ছবিতে অভিনয় করেন ভাইজানের ভাই আরবাজ খানও।