কিছুদিন আগে টলিউডে রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh) প্রযোজিত ওয়েব সিরিজ ‘মাতঙ্গী’-র সেটে তৃণা সাহা (Trina Saha) তুমুল অশান্তি করে সেট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। তাঁর মতে, ওই ওয়েব সিরিজের আরও এক নায়িকা সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar)-কে আলাদা মেকআপ রুম ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তৃণার জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা ছিল না। এমনকি এই ঘটনা নিয়ে তৃণা ও অপর এক নায়িকা রণিতা দাস (Ranieeta Dash) আর্টিস্ট ফোরামের ভার্চুয়াল গ্রুপে মেসেজ না করলেও সোহিনী করেছিলেন। কারণ রুদ্রনীলের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ সোহিনী ও তাঁর প্রেমিক রণজয় (Ranojoy)। স্বাভাবিক ভাবেই যাবতীয় সুবিধা পেয়েছিলেন সোহিনী। পক্ষপাতিত্ব একালেও রয়েছে, সেকালেও ছিল। পক্ষপাতিত্বের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল হিন্দি ফিল্ম ‘চুপকে চুপকে’।
এই ফিল্মটি পরিচালনা করেছিলেন হৃষিকেশ মুখার্জী (Hrishikesh Mukherjee)। ফিল্মে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore), ধর্মেন্দ্র (Dharmendra), অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) ও জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan)। উত্তম কুমার (Uttam Kumar) ও মাধবী মুখোপাধ্যায় (Madhabi Mukherjee) অভিনীত বাংলা ফিল্ম ‘ছদ্মবেশী’-র হিন্দি রিমেক ছিল ‘চুপকে চুপকে’। তবে এই ফিল্মের জন্য হৃষিকেশের প্রথম পছন্দ ছিলেন আশা পারেখ (Asha Parekh), শর্মিলা নন। এমনকি তিনি আশাকে কথা দিয়েছিলেন, যখন তিনি কোনো ফিল্ম বানাবেন, অবশ্যই আশাকে কাস্ট করবেন। কিন্তু সেই সময় ধর্মেন্দ্র বলিউডের সুপারস্টার। পরিচালক ও প্রযোজকদের সাথে তিনিও সিদ্ধান্ত নিতেন ফিল্ম সম্পর্কে।
View this post on Instagram
হৃষিকেশ যথেষ্ট কঠোর মনোভাব পোষণ করতেন। তাঁর প্রোজেক্ট সম্পর্কে তিনিই ছিলেন শেষ কথা। তবু ধর্মেন্দ্র পরিচালকের ঘনিষ্ঠমহলের মাধ্যমে তাঁকে প্রভাবিত করা শুরু করেন। ধর্মেন্দ্রর সাথে শর্মিলার যথেষ্ট সখ্যতা ছিল। অপরদিকে আশা যথেষ্ট ব্যক্তিত্ব সম্পন্না। বলিউডের তৎকালীন প্লে বয় ধর্মেন্দ্রর ক্ষমতা ছিল না তাঁর পাশে দাঁড়ানোর। ফলে তিনি আশাকে রিপ্লেস করে শর্মিলাকে এই ফিল্মে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন হৃষিকেশকে। চাপের মুখে নতিস্বীকার করে হৃষিকেশ চিত্রনাট্যে পরিবর্তন ঘটান। আশার পরিবর্তে অভিনয় করেন শর্মিলা।
View this post on Instagram
‘চুপকে চুপকে’ ছিল ব্লকবাস্টার। কিন্তু একই সাথে নেপথ্যে ছিল আশার বঞ্চনা। তবে একটি ফিল্ম হাতছাড়া হওয়ার জন্য আশার কেরিয়ার প্রভাবিত হয়নি। তিনি নক্ষত্র ছিলেন, আছেন, থাকবেন।