দিয়া মির্জা, ‘রহনা হ্যায় তেরি দিলমে’ খ্যাত নায়িকা।। ২০১৪ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সাহিল সাঙ্ঘিকে। প্রথমে সুখেই সংসার করছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পর হঠাৎ তাঁদেএ মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এবং ২০১৯ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। প্রায় ৫ বছর সংসার করার পর সাহিলের সঙ্গে দিয়ার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কী কারণে সাহিলের সঙ্গে বিচ্ছেদ হচ্ছে, সে বিষয়ে দিয়া মির্জা কোনদিন কোনো মন্তব্য করেননি এমনকি স্বামীকে নিয়ে কোনো কুমন্তব্য করেননি। এরপর অভিনেত্রী নিজের অভিনয় আর সোশ্যাল কাজ কর্ম নিয়ে বেশ ভালোই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এরপর অভিনেত্রীর জীবনে আসে বৈভব রেকি। বৈভব রেকির সাথে ২০২০ সালে ডেট করা শুরু করেন।
২০২১ সালে নিজেদের প্রেমের সম্পর্ককে পরিণতি দিতে প্রেমের মাসই বেছে নিলেন এই লাভ বার্ডস। সোমবার মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী বৈভব রেকির সঙ্গে পরিবার আর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে সাত পাকে বাধা পড়লেন। দিয়ার বান্দ্রার বাড়িতে বসেছিল এই কাপলের বিয়ের আসর। অজস্র ফুল আর মালা দিয়ে সাজানো বিয়ের মণ্ডপ। বিয়ের দিন লাল বেনারসি, রত্নখচিত গয়নায় সেজেছলেন বিয়ের কনে। আলাদা ভাবে নজর কেড়েছেন সাদা শেরওয়ানি, বেজ রঙা পাগড়িতে সেজে ওঠেন।
View this post on Instagram
কিন্তু এদের বিয়ের মধ্যে ছিল অভিনবত্বের ছোঁয়া। একজন পুরুষ পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নারী-পুরুষ। আদপে এই বিয়ের মন্ত্রের স্রষ্টা হলেন একজন নারী।তাই বাংলা সিনেমার ধাঁচে এক মহিলা পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণেই বৈদিক মতে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে তারকাজুটির। যেমনটা দেখানো হয়েছিল শিবু-নন্দিতা প্রযোজিত এবং অরিত্র মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’সিনেমাতে। একজন নারীর আশীর্বাদে বৈভব আর দিয়া সারাজীবন একসাথে পথ চলার অঙ্গীকার হলেন। বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ, মালাবদল, সপ্তপদী, যজ্ঞ সবই করলেন মহিলা পুরোহিত। এইভাবে সোমবার শুরু হল তাঁর নতুন সফর। এই বিয়েতে ছিল না কোনো কন্যাদান ছিল না কনাকঞ্জলি। এদের বিয়ের অভিনবত্বের জন্য অনেকে প্রশংসা করেছেন।
View this post on Instagram
