Tourism: কম খরচে দেড় ঘন্টায় দীঘা, ৬ ঘন্টায় পুরী, এই রুট সম্পর্কে জানা আছে আপনার!
কাজ থেকে ফুরসৎ মিললেই অনেকে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে। কখনও গন্তব্য হয়ে থাকে পাহাড়, কখনো সমুদ্র, কখনো ঐতিহাসিক স্থান, কখনো ধর্মীয় স্থান, আবার কখনো কোনো শান্ত জায়গা। এর মাঝে অনেকেই যান বিদেশ ট্যুরে, কেউ আবার ভিনরাজ্যে কোনো দর্শনীয় স্থান যেতে পছন্দ করেন। অনেকেই আবার কাছেপিঠের কোনো সুন্দর জায়গা খুঁজে নেন হলিডে ডেস্টিনেশন হিসেবে। সেখানেই দিনকয়েক কাটিয়ে আবার সাধারণ জীবনে ফিরতে হয়।
বাঙালির কাছেপিঠের সুন্দর জায়গার অন্যতম হল পুরী। সমুদ্র সৈকতের সঙ্গে এখানে ধর্মীয় স্থান হিসেবে রয়েছে জগন্নাথ দেবের মন্দির। সেই কারণেই সারা দেশ থেকে সারাবছর লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী হাজির হন ওড়িশার এই নগরীতে। অন্যদিকে বাঙালির ঘরের সমুদ্র সৈকত বলে পরিচিত হল দীঘা। খুচরো ছুটি, এমনকি উইকেন্ডে অনেকেই দীঘা পাড়ি দেন। এইসব জায়গাও কেউ গাড়িতে যান, কেউ বাসে, কেউ আবার ট্রেনে। খুব কম মানুষ ফ্লাইটে যাত্রা করেন। তবে এবার এই দুই সৈকত নগরী ভ্রমণের দারুন সুযোগ এসেছে বাঙালির কাছে। কি সেই সুযোগ? জেনে নিন।
সড়ক পথে বা আকাশ পথে নয়, এবার জলপথে পুরী ও দীঘা যাওয়ার সুযোগ এসে গেছে। এবার অনেক কম সময়ে দীঘা ও পুরী পৌঁছে যাওয়া যাবে জলপথে। আর এই সুযোগ মিলবে বিলাসবহুল ক্রুজে চড়ে। তাহলে কি, দারুন জলজ অভিজ্ঞতার সঙ্গে কয়েকঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যাবে এই গন্তব্যে। আর এই যাত্রাপথ হবে স্বপ্নের মতো। কারণ এমন সুযোগ ক’জন আর পায়! কিন্তু করা এই সুযোগ দিচ্ছে? কিভাবেই বা মিলবে এই সুযোগ? তা এবার জেনে নিন।
ডায়মন্ডহারবার পৌরসভা এবার এই সুযোগ দিচ্ছে রাজ্যবাসীকে। সূত্রের খবর, PPP বা পুরসভা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে ডায়মন্ডহারবার পৌরসভা। জানা গেছে, হুগলি নদী ও সমুদ্রের বুকে গঙ্গাসাগর হয়ে ক্রুজে করে পৌঁছে যাওয়া যাবে দীঘা ও পুরীতে। এই পথে ডায়মন্ডহারবার থেকে দীঘা পৌঁছাতে সময় লাগবে দেড় ঘন্টা এবং পুরী পৌঁছানো যাবে ৬ ঘন্টায়। তাই এবার কপিল মুনির আশ্রম ও জগন্নাথ দেবের দর্শন একইসাথে হবে এই উদ্যোগের মাধ্যমে।