দেখতে দেখতে ডিসেম্বর এসে হাজির। ঘূর্ণাবর্তের কারণে শীত বাধাপ্রাপ্ত হলেও আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জাঁকিয়ে শীত পড়বে রাজ্যে। শীতের ছুটিতে সমুদ্রের নোনতা বাতাস গায়ে মাখতে কে না চায়। আর বাঙালির কাছেপিঠের একমাত্র গন্তব্য হল দীঘা। দু’দিনের ছুটি কাটানো হোক বা ঝাউবনের মৃদুমন্দ হিমেল বাতাসের মাঝে বনভোজন, বাংলার বুকে দীঘার জুড়ি মেলা ভার। তবে এবার দীঘা পৌঁছানো আরো বেশি সহজ ও স্বল্পব্যায়ী হতে চলেছে। কারণ ইতিমধ্যে চালু রয়েছে দীঘাগামী এমন ট্রেন, যার মাধ্যমে কম খরচে দীঘা পৌঁছানো সম্ভব।
গত বছরে দিঘা যাওয়ার লোকাল ট্রেন আবারো ফিরিয়ে এনেছে ভারতীয় রেল। এর ফলে আনন্দের হওয়া বইতে শুরু করেছে পর্যটক মহলে। সোমবার বাদে সপ্তাহের ছয়দিন অর্থাৎ রবি, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার সন্ধ্যে ৬ টা ২০ তে পাঁশকুড়া থেকে দিঘার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় একটি লোকাল ট্রেন। সেটি দীঘা পৌঁছায় রাত ৮ টা ৫০ মিনিটে। দিঘা পৌঁছাতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় নেয় ট্রেনগুলো। এছাড়াও ফেরার ট্রেন দিঘা থেকে মঙ্গলবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়বে, পাঁশকুড়া পৌঁছবে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে।
এদিকে হাওড়া বা কলকাতা থেকে পাঁশকুড়া, খড়গপুর বা মেদিনীপুরগামী যেকোন লোকাল ট্রেনে পাঁশকুড়া পৌঁছানো সম্ভব। আর হাওড়া থেকে পাঁশকুড়া পর্যন্ত যাওয়ার ভাড়া মাত্র ২০ টাকা। এরপর পাঁশকুড়া থেকে লোকাল ট্রেনে দিঘা যাওযার ৩০ টাকা। তাও মোট ৫০ টাকাতেই আপনি কলকাতা থেকে দিঘা পৌঁছে যাবেন, আর সেই জন্য মোট ৫ ঘণ্টা সময় লাগবে। ফলে খুব অল্প সময়েই কলকাতা থেকে পৌঁছে যেতে পারবেন সমুদ্রের ধারে।
এদিকে, দীঘার পর্যটন শিল্পে এবছর ব্যাপক ভিড়ের আশা করছেন দীঘার ব্যবসায়ীরা। তাই খাদ্য থেকে থাকার হোটেল, সবদিকে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। সম্প্রতি সমুদ্র সৈকতে সামুদ্রিক মাছ ও কাঁকড়ার স্টলে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর ও প্রশাসন। এছাড়াও দীঘার পর্যটন শিল্প উন্নত করতে আরো নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে দীঘা ও শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। তাই পকেটে পয়সা না থাকলেও এবার শীতের ছুটিতে দীঘা প্ল্যান করতেই পারেন।
