Hariyali Teej 2024: হরিয়ালি তীজের শুভদিনে করুন এই কাজ, সংসারে উপচে পড়বে সুখ-সমৃদ্ধি
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে শ্রাবণ মাস যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। হিন্দু পুরাণ মতে, শ্রাবণ মাস মহাদেবের জন্ম মাস। তাই গোটা মাস জুড়েই পুণ্যার্থীরা মহাদেবের আরাধনা করে থাকেন। এই মাসেই শুক্লপক্ষের তৃতীয় দিনে পালিত হয় হরিয়ালি তীজ (Hariyali Teej) উৎসব। বিবাহিত মহিলারা এই দিন তাদের স্বামীর জন্য উপোস রেখে শিব গৌরীর পুজো করে, শ্রাবণের গান গায়। এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব হিন্দু ধর্মে বিয়ের গভীরতা নিয়ে আসার পাশাপাশি পরিবারেও আনন্দের রেশ ছড়িয়ে রাখে।
হিন্দু ধর্মে হরিয়ালি তীজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শাস্ত্র অনুসারে, দেবী পার্বতী ভগবান শিবকে স্বামী রূপে পাওয়ার জন্য কঠিন তপস্যায় মগ্ন হয়েছিলেন। সেই তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে শ্রাবণ শুক্লা তীজের দিনে দেবী পার্বতীকে স্ত্রী রূপে গ্রহণ করেন। এই দিনটিকে তাই শিব পার্বতীর মিলন হিসেবে বিবেচনা করে তাঁদের পুজো করা হয়। স্ত্রীরা স্বামীর মঙ্গল এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে। পাশাপাশি এদিন বাড়ি এবং দাম্পত্য জীবনের সুখ সমৃদ্ধি কামনা করেও পুজো করা হয়। আগামীকাল অর্থাৎ সাত তারিখ রয়েছে এই শুভ দিন।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, যে বিবাহিত মহিলারা এদিন শিব পার্বতীকে ষোল শৃঙ্গার করে পুজো করেন তারা বিশেষ সৌভাগ্য লাভ করে থাকেন। শুধু বিবাহিত নয়, অবিবাহিত মেয়েরাও এদিন উপোস থেকে শিবের মতো স্বামী কামনা করেন। এদিন খুব ভোরে উঠে স্নান করে শুদ্ধ পোশাক এবং গয়না পরতে হয়। তারপর একটি পরিষ্কার জায়গায় হলুদ কাপড় বিছিয়ে মা গৌরী এবং ভগবান শিবের মূর্তি বা ছবি স্থাপন করতে হবে। পুজোতে শুকনো ফল, মিষ্টি এবং সবুজ চুড়ি দেওয়া হয়। তারপর হরিয়ালি তীজের ব্রতকথা পাঠ করে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করতে হবে।
শ্রাবণ মাসকে মূলত প্রকৃতির সৌন্দর্য হিসেবে দেখা হয়। ধর্মীয় শাস্ত্রে নারীকে প্রকৃতির সমান দেখা হয়। সবুজ প্রকৃতির মতো নারীও জীবনে সুখ এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। তাই হরিয়ালি তীজে সবুজ রঙের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। স্বামীর দীর্ঘায়ু, সুস্থ জীবন কামনা করে সবুজ চুড়ি এবং পোশাক পরেন মহিলারা। আরো মানা হয়, সবুজ রঙ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রেম বাড়ায়। শ্রাবণ মাসে এই রঙ পরলে শিব পার্বতীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।