Hoop Life

রাজবাড়ী থেকে নিরিবিলি অরণ্য সবই পাবেন, পুজোর সময় ঝাড়গ্রামের এই জায়গাগুলি হতে পারে সেরা ডেস্টিনেশন

পুজোর সময় কলকাতার কোলাহলে যদি থাকতে ভালো না লাগে, তাহলে দুদন্ড শান্তি পেতে ঘুরে আসতে পারেন কাছে পেতে ঝাড়গ্রাম থেকে। ঝাড়গ্রামে গেলে ভীষণ আনন্দ পাবেন, জঙ্গল ছাড়া শান্ত পরিবেশে মন কিন্তু এক্কেবারে ভালো হয়ে যাবে। পুজোর সময় বউয়ের হাত ধরে কিংবা পরিবারকে সাথে নিয়ে ঘুরেই আসতে পারেন অসাধারণ এই জায়গাটি থেকে। তবে এখানে গেলেও কিন্তু আপনি দেখতে পাবেন দুর্গা মন্দির। যেখানেই আছে কনক দুর্গা মন্দির।

প্রথমেই যে জায়গাটির কথা বলতে হয় সেটি হল চিল্কিগড়ে ঝাড়গ্রাম রাজপ্রাসাদ। ধলভূমের শাসকরা অসাধারণ প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন। এই প্রাসাদটি প্রায় ৩০০ বছরে পুরনো এখানে আছে অনেক রকমের দেবদেবী। শোনা যায়, বর্গীরা মানুষদের হাত থেকে সুরক্ষিত করার জন্য এই প্রাসাদের চারপাশে অনেক উঁচু পাঁচিল দিয়ে দিয়েছিলেন।

এই রাজপ্রাসাদের কাছেই পাবেন কনক দূর্গা মন্দির। মন্দিরের চারপাশের অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে আপনি কথা দিচ্ছি একেবারে পাগল হয়ে যাবেন। এছাড়াও প্রাসাদের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে কুলু কুলু শব্দের দুলুং নদী। দুর্গা মন্দিরে নিত্য দেবতার পূজো হয় এছাড়াও ঘুরে আসতে পারেন আরেকটি অসাধারণ জায়গা থেকে।

আরো একটি অসাধারণ দেখার জায়গা হল কাঁকড়াঝোর অরণ্য। শহর থেকে মাত্র তিন ঘন্টার পথ গেলেই আপনি এখানে গেলে দেখতে পাবেন চরম প্রশান্তি সবুজে ঘেরা এই জায়গাটা, যেখানে কয়েকটা দিন কাটিয়েই আসতে পারেন। কাঁকরাঝোর যা ৯০০০ হেক্টর এলাকা আপনাকে বিমোহিত করবে।

গদ্রাসিনী পাহাড় থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে এই কাঁকরাঝোর। বেলপাহাড়ির খান্দারানি হ্রদ ঝাড়গ্রামের কাছে সবচেয়ে মনোরম স্থানগুলির মধ্যে একটি। ঝাড়গ্রাম থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টা সময় এর দূরত্বে অবস্থিত। এই হ্রদের চারপাশের পরিবেশ নিরিবিলি, এবং হ্রদ ঘিরে আছে সবুজ গাছপালা।

বেলপাহাড়ি হল পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের গ্রাম। শাল, মহুয়া, পিয়াল, সোনাঝুরি এবং ইউক্যালিপটাস গাছের সারি এলাকাটিকে ঘিরে রয়েছে। এই গ্রামের শান্ত এবং নির্মল পরিবেশ মনোমুগ্ধকর।

Related Articles