Weekend Destination: সমাধির ওপর তৈরি কালী মন্দির, দীপাবলিতে ঘুরে আসতে পারেন এই মন্দির থেকে
দুর্গাপুজোর পরে বাঙালির আরেকটি বড় উৎসব হলো কালীপুজো। কালীপুজোতেও মানুষ তিন চার দিন বেশ মেতে ওঠেন। সেই দিক থেকে নৈহাটির কালীপুজোর সবচেয়ে বিখ্যাত নৈহাটির বড়মাকে দেখার জন্য দূর দূর থেকে ভক্তদের আগমন হয়, কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না, আবার অনেকেই জানি, যে দুর্গাপুরে রয়েছে একটি অসাধারণ জাগ্রত কালী মন্দির, ইচ্ছা করলে এবারে পূজোয় ঘুরে আসতে পারেন দুর্গাপুরের এই মন্দির থেকে।
কথায় আছে, ‘বাঙালি বারো মাসে তেরো পার্বণ’ একটা পুজো শেষ হওয়ার পরেই শুরু হয়ে যায় আরেকটা পুজোর তোড়জোর। মানুষ বেড়াতে যে প্রচন্ড ভালোবাসে তাইবারে দুর্গা পুজোতে মানুষের ভিড় দেখে বোঝা গেছে মোটামুটি মহালয়া থেকে শুরু হয়ে গিয়েছিল প্যান্ডেল প্যান্ডেলে ঘুরে বেড়ানোর তাগিদ। কিন্তু যারা সত্যি চান মায়ের কাছে কোন রকম আড়ম্ভর ছাড়া পুজো দিতে, তাহলে কিন্তু ঘুরেই আসতে পারেন দুর্গাপুরের অসাধারণ এই মন্দির থেকে।
এই মন্দিরটির নাম শ্রী শ্রী ভিরিঙ্গি কালী মন্দির। ১৮৫২ সালে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মন্দিরের বিশেষত্ব হলো একটি সমাধির ওপরে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত। কথায় আছে এই মায়ের কাছে গিয়ে আপনি যা চাইবেন, তা কিন্তু সহজেই ফলে যায়। তাইতো দূর দুরান্ত থেকে মানুষ আসে এখানে তাদের মনস্কামনা পূর্ণ করতে। দুর্গাপুরে বেনাচিতি বাজারের কাছেই রয়েছে এই কালী মন্দির। মন্দিরের নিচে শায়িত আছেন, অক্ষয় কুমার রায় এবং তার পুত্র রবীন্দ্রনাথ রায়।
আগে যেখানে ভিরিঙ্গি কালী মন্দির ছিল সেখানে একটি ধামা পুকুর ছিল। সেই পুকুর থেকে তিনটে বিষ্ণু মূর্তি এবং নন্দী ও ভৃঙ্গী মূর্তি আবিষ্কৃত হয়, তারপরে কালী মুর্তির সাথে এই মূর্তিগুলো পুজিত হয়।
এখানে মা- কালীকে ভোগ খেতে দেওয়ার আগে চন্ডভৈরবকে খেতে দেওয়া হয়, এছাড়াও এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে আরো অনেক অবিশ্বাস্য ব্যাপার। তবে একবার ঘুরে আসলে বুঝতে পারবেন এই মন্দিরের মূর্তির কতটা মাহাত্ম্য। তবে এখানে শুধু মা কালীর মূর্তি রয়েছে, তাই নয়, এখানে কিন্তু শিবলিঙ্গ রয়েছে, ইচ্ছা করলে ঘুরে আসতে পারেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে।