Partha Chatterjee: অর্পিতা-দেবলীনার পর খোঁজ মিলল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আরও এক বান্ধবীর
পার্থ-অর্পিতা এখন টক অফ দ্যা টাউন। দুজনেই ইডি-র হেফাজতে। প্রতিদিন চলছে জেরা। অর্পিতা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন – ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কর্মীরা এসে ফ্ল্যাটে টাকা রেখে যেত। টাকা রাখছে জানতাম, কত টাকা রাখা হচ্ছে জানতাম না।’ এমনকি তিনি এও বলেছেন যে পার্থ তার খুব ভালো বন্ধু। ২০১৭ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী গত হন। সেই সময় থেকেই অর্পিতার সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয় বলে জানান অর্পিতা। প্রায় সময় তার ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন এবং অন্যান্য লোকেরা যাতায়াত করতো ও খামে করে কিছু রেখে যেত। পার্থকে অর্পিতা জিজ্ঞেস করলেই পার্থ বারণ করতেন ওই খাম ধরতে।
এদিকে, অর্পিতার শৌচাগারে পর্যন্ত পার্থ ও তার বিরাট বড় টিম প্রায় সময় অর্পিতার ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন। এমনকি, অর্পিতার শৌচাগার পর্যন্ত বাদ যায়নি। টাকার, সোনার খনি ছিল অর্পিতার শৌচাগার।
বর্তমান শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডির দল, তারপর যেই টাকার খনি উদ্ধার হয় তাতে করে মাথায় হাত মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অভিষেকের। তারা কিছুই জানতেন না। ঠিক সেই কারণে গত বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। অবশ্য, এরপরেই হাসপাতালে ঢোকার সময় পার্থ সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার”।
সত্যি কি ষড়যন্ত্রের শিকার? পার্থর পক্ষে একা এত কোটি কোটি টাকা জমিয়ে রাখা কি সম্ভব? যারা টাকা দিতে আসতেন তারা কি তৃণমূলের? প্রশ্ন যায় হোক, উত্তর মানুষ বুঝে গিয়েছে। লক্ষ্মী ভান্ডার হোক বা অন্যান্য ভাতা সব কিছুর উৎস কি মানুষ হয়তো সেটাও জানেন, কিন্তু এখনও কিছু মানুষ আছেন আইনের আদালতের রায়ের অপেক্ষায়। এই প্রসঙ্গে, আরো একটি নতুন খবর সামনে এসেছে তা হল, পার্থর বান্ধবী সংখ্যা। অর্পিতা বিশেষ বিশেষ বান্ধবী হলেও খুচ্খাচ বান্ধবী প্রাক্তন মন্ত্রী মশাইয়ের আছে। সম্প্রতি মোনালিসা দাস নামে এক মহিলার নাম উঠছে যিনি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপিকা। এই মহিলা পার্থর সাহায্যে বহু অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি দিয়েছেন। এবং তৃণমূলের হয়ে প্রচারের কাজ শেষে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বাড়িতেও যেতেন মোনালিসা। তাহলে কি আরো অনেকে আছেন পার্থর বান্ধবীর লিস্টে?