Ration Scam: রেশন দুর্নীতিতে জেলায় জেলায় ED-র অভিযান, উদ্ধার কোটি কোটি টাকা
রেশন দুর্নীতি মামলায় এক সপ্তাহ আগেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সল্টলেকের ফ্ল্যাট থেকে তাকে গ্রেফতার করেন ইডি অফিসাররা। টানা ২১ ঘন্টার ম্যারাথন জেরায় কথাবার্তায় অসঙ্গতি পেয়ে মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইডি। ভোরবেলায় তাকে আনা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। আর এই ঘটনার এক সপ্তাহ পরেই রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে অতিরিক্ত সক্রিয় হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার একাধিক জেলায় শুরু হল ইডি অফিসারদের হানা।
এবার একের পর এক কারখানা ও কোম্পানিতে হানা দিয়েছেন ইডি অফিসাররা। এই অভিজা। শুরু হয় গত ৪ নভেম্বরে। ওইদিন বনগাঁর কালুপুরের রাধাকৃষ্ণ ফ্লাওয়ার মিলে হানা দেয় ইডি। ওই মিলের মালিক মন্টু সাহা এবং কালীদাস সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলেও জানা গেছে। এছাড়াও তাদের বাড়িতে গিয়েও তল্লাশি চালানো হয় বলে সূত্রের খবর। কারণ, এই দুই ব্যক্তির সঙ্গে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যোগসূত্র রয়েছে বলে জানা গেছে ইডি সূত্রে। তাই রেশন দুর্নীতি মামলার নিষ্পত্তি ঘটাতে সেখানেও হানা দেয় ইডি।
এরপর অভিযান শুরু হয় হাওড়া। সূত্রের খবর, হাওড়া জেলার অঙ্কিত ইন্ডিয়া নামের কারখানায় ইডির অভিযান চলে। আর সেখান থেকে পাওয়া গিয়েছ ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। গত ৫ তারিখে এই অভিযান চালানো হয়। আর এদিনের এই তল্লাশি অভিযানের ভিত্তিতেই টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। আর এবার অভিযান চলল বাঁকুড়া জেলায়। সূত্রের খবর, ইডির অভিযানে বাঁকুড়ার দুটি কোম্পানি থেকে পাওয়া গিয়েছে ১৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। মেসার্স এজে এগ্রোটেক ও মেসার্স এজে রয়েল প্রাইভেট লিমিটেড নামের দুই সংস্থা থেকেই এই টাকা উদ্ধার হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে ইডির এইসব অভিযানকে ঘিরে ইতিমধ্যে সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। অনেকেই দাবি করছেন যে বিজেপি ইডিকে ব্যবহার করছে রাজনৈতিক স্বার্থে। এদিকে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও তার গ্রেফতারীর পর দাবি করেছিলেন যে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। একই সুর শোনা গেছে তৃণমূল সুপ্রিমোর গলাতেও। অন্যদিকে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের কথায়, এই তো শুরু, এখনো অনেক বাকি রয়েছে।