শান্তির ঘুম আর নয়, এক ধাক্কায় বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম, কেন্দ্রের তরফে বড় সিদ্ধান্ত

দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি কাজের জন্যই প্রয়োজন বিদ্যুৎ (Electricity)। জীবনযাত্রাকে উন্নত করতে তাই প্রত্যন্ত গ্রামেও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যুতের দাম যদি বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে তা রীতিমতো চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে নেওয়া সিদ্ধান্তে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইউনিট প্রতি বাড়ানো হতে পারে বিদ্যুতের দাম।

কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির যত পরিমাণ কয়লা প্রয়োজন হবে তার ৪ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি করতে হবে। বিদুৎ মন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিদ্যুৎ সচিব এবং তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টরদের এমনি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দেশীয় কয়লার থেকে বিদেশি কয়লার দাম বেশি হওয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুতের খরচও বাড়তে চলেছে অনেকখানি। মনে করা হচ্ছে, ইউনিট প্রতি প্রায় ৭০ পয়সা করে দাম বৃদ্ধি পেতে পারে বিদ্যুতের। ফলে বিদ্যুতের বিলে যে বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে তা বলা বাহুল্য।

 

এদিকে অল ইন্ডিয়া পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার্স ফেডারেশনের তরফে বলা হয়েছে, দেশীয় কয়লার মূল্য প্রায় ৩০০০ টাকা প্রতি টন। অন্যদিকে আমদানি করা কয়লার দাম প্রায় ১৫,০০০-২০, ০০০ টাকা টন প্রতি। তবে বিদ্যুৎ তৈরিতে আমদানি করা কয়লা রাখতেই হবে বলে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে কারণেই বাড়তে পারে বিদ্যুতের খরচ।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা এবং সিইএসসি জ্বালানি খাতে গ্রাহকদের উপরে অতিরিক্ত কোনো কর চাপানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে বার্ষিক পারফরম্যান্স রিভিউতে খরচ দেখিয়ে মাশুলের টাকা উদ্ধার করার আর্জি জানানো হয়েছে। কমিশনের তরফে আর্জি মঞ্জুর হলে গ্রাহকদের থেকে সেই টাকা উদ্ধার করা হবে।