Ration System: দুর্নীতি রুখতে বিরাট পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের, রেশন দোকানে চালু হচ্ছে এই বিশেষ ব্যবস্থা
দেশে খাদ্যাভাব দূর করতে রেশন ব্যবস্থার সূচনা ঘটে স্বাধীনতার পরেই। আর রেশন কার্ড রয়েছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তি মাসে মাসে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন। কোনো কোনো নাগরিক কম দামে কিনতে পারেন রেশন, আবার কাউকে বিনামূল্যে রেশন দিয়ে থাকে সরকার। দেশের রেশন ব্যবস্থা চালু রাখতে বেশ কিছু অনুমোদিত দোকান থেকে এই রেশন প্রদান করা হয় গ্রাহকদের। লাইনে দাঁড়িয়ে কিংবা কার্ড জমা দিয়ে রেশনের সামগ্রী সংগ্রহ করতে হয় নাগরিকদের।
এক্ষেত্রে কার্ড অনুযায়ী নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয় স্থানীয় রেশন শপ থেকে। তবে সবার ক্ষেত্রে সমান খাদ্যদ্রব্য বণ্টন করা হয় না। কোন গ্রাহক কত পরিমানে খাদ্য শস্য পাবেন তা ঠিক হবে তাঁর রেশন কার্ডের উপর। তবে রেশন ব্যবস্থায় নাগরিকদের বাড়তি সুবিধা প্রদান করতে আরো বেশ কিছু অতিরিক্ত স্কিম নিয়ে আসা হয় মাঝেমধ্যেই। এর মধ্যে প্রতিটি স্কিম বা প্রকল্প বা ব্যবস্থা চালু করা হয় জনগণের ভালোর জন্যই।
আর এবার রেশন দুর্নীতি রুখে দিতে বড় পদক্ষেপ নিলো রাজ্য সরকার। আসলে রেযাণ দোকান থেকেই মূল দুর্নীতি হয়ে থাকে। তবে এবার থেকে সেই দুর্নীতি রুখে দিতে চায় পশ্চিমবঙ্গের রাহয় সরকার। জানা গেছে, এবার থেকে রেশন দোকানে ইলেকট্রনিক ওজন স্কেল চালু করছে সরকার। এটির পোশাকি নাম হল ‘ওয়েয়িং স্কেল’। এটির মাধ্যমে যেমন রেশন সামগ্রীর ওজনে কারচুপি করা যাবেনা। এর ফলে আরো বেশি স্বচ্ছ হতে চলেছে রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা। আপাতত রাজ্যের ১৮ হাজার রেশন দোকানে এই সুবিধা চালু হতে চলেছে।
এই বিষয়ে খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “রেশনিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে এবং খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীরা যাতে কোনওভাবেই প্রতারিত না হন তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। তাই রেশন দোকানগুলিতে এই বিশেষ মেশিনটি বসানোর লখ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরো বলেন, “ইলেকট্রনিক ওজন স্কেলগুলি ই-পিওএস মেশিনের সাথে সংযুক্ত থাকবে এবং খাদ্যশস্য বিতরণের প্রতিটি লেনদেনের সময় জিনিসগুলির ওজন তাত্ক্ষণিকভাবে আমাদের বিভাগের কেন্দ্রীয় সার্ভারে উপলব্ধ হবে। সুতরাং প্রতিটি লেনদেন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।”