নতুন বছরের শুরুতেই বাড়তে চলেছে যেসব ইলেকট্রনিক্সের দাম
২০২০ সাল শেষ হয়ে ২০২১ সাল পড়তে এখনো বেশ ২ দিন মতো বাকি। নতুন বছর শুরু হওয়ার আগে মধ্যবিত্তদের কপালে পড়লো চিন্তার বিশাল বড় ভাঁজ। নতুন বছর পড়ার আগেই মানুষকে নিজের পকেট বুঝে খরচ করতে হবে। নতুন বছরের শুরুতেই বাড়তে চলছে রোজকার প্রয়োজনীয় দ্রবাদির মূল্য। একনজরে কি কি দাম বাড়লো তা একবার দেখে নেওয়া যাক।
২০২১ সাল পড়তে না পড়তে বাড়তে চলেছে টিভি ফ্রিজ ও ওয়াশিং মেশিনের মতো ভোগ্যপণ্যের দাম। অবশ্য এর পিছনের অনেক গুলি কারণ আছে। এই করোনা মরশুমে এক লাফে অনেকটা দাম বেড়েছে তামা, অ্যালুমিনিয়াম, ইস্পাতের মতো কাঁচামালের দাম। পাশাপাশি বেড়েছে পরিবহণ খরচও। কারণ করোনার জন্য অনেকদিন ধরে বন্ধ ছিল রেল, বিমান ও জাহাজের পরিষেবা। আর খোলার পর সব কিছুর দাম ও বেড়েছে। সব মিলিয়ে বিচার বিবেচনা করে অনেকটা দাম বাড়তে চলেছে বৈদ্যুতিন সামগ্রীর।
জানা গিয়েছে, এই পণ্য সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে প্রায় ১০ শতাংশ। অন্যদিকে, চিনের সাথে ভারতের সংঘাতের জেরে একাধিক চিনা পণ্য আমদানিও বন্ধ করা হয়েছে। ফলস্বরূপ জোগানের খরচ বেড়েছে। কেন বেড়েছে তাই তো? আসল ঘটনা হল এই বৈদ্যুতিন সামগ্রীতে অধিকাংশই চিনা পণ্য থাকে। আর সেই জিনিস এখন ভারতকে বানাতে হচ্ছে আর তাই সেখানেও আঘাত পড়েছে। ফলে টিভি ফ্রিজ তৈরিতে বেড়েছে খরচের পরিমাণ। আবার অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার কারণে প্লাস্টিকের দামও অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। তাই নতুন বছরের শুরুতে টিভি এবং অন্যান্য ভোগ্যপণ্যগুলি কেনার সময় একটু ভাবতে হবে।
শুধু কথার কথা না এই ভোগবিলাসী পণ্যের দাম যে বাড়ছেই, সে সম্পর্কে ক্রেতাকে নিশ্চিত করেছে এলজি, প্যানাসনিক এবং থমসনের মতো সংস্থাগুলি। যদিও সনি কি করবে সে বিষয়ে স্পষ্টত কিছু জানাননি। এখনও এই পরিস্থিতি নিয়ে এরা পর্যালোচনা করছে। এই কারণে তারা এখনও পর্যন্ত কোনো স্থির সিদ্ধান্ত নেয়নি। প্যানাসনিক ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ও সিও মনীষ শর্মা বলেছেন, “আনুষঙ্গিক পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে খুব শীঘ্রই তাঁদের তৈরি পণ্যের দাম বাড়তে পারে। জানুয়ারির গোঁড়ার দিকে সরঞ্জামগুলির দাম ৬-৭ শতাংশ বাড়তে পরে। তবে ২০২১ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের শেষে তা ১০-১১ শতাংশ অব্দি বাড়তে পারে”। এলজি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের সংস্থা থেকে ৭-৮ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি হতে পারে। অন্যদিকে থমসন ও কোডাক অ্যান্ড্রয়েড টিভির দাম বাড়াচ্ছে ২০ শতাংশ।