Sujata Mondal: ‘আমার উপস্থিতিতেই তৃতীয় নারীকে ঢুকিয়েছে’, ফের সৌমিত্রর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সুজাতা!
বাংলার রাজনৈতিক মহলে সৌমিত্র-সুজাতা কেমেস্ট্রি বরাবরই চিত্তাকর্ষক। পরিণয় থেকে দাম্পত্য, রাজনৈতিক ময়দানে একসাথে লড়াই, সেখান থেকে সাফল্য, আর এখন বিচ্ছেদের সুর। শেষমেষ আইনত আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন দুজনেই। তবে এই বিবাহবিচ্ছেদের মাঝেই এবার নতুন মোড়। প্রাক্তন স্বামীর দিকে আঙুল তুলে গুরুতর অভিযোগ করলেন সুজাতা মন্ডল। এবার তাদের দুজনের অশান্তির মাঝেই ঢুকে পড়লেন তৃতীয় কেউ। পরনারীসঙ্গের অভিযোগ আনলেন তৃণমূল নেত্রী। আর সেই নিয়ে এখন সরগরম বাঁকুড়া জেলা তথা রাজ্য রাজনীতি।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে স্বামীর হয়ে ভোটের প্রচার করেন সুজাতা দেবী। সেই ভোটে বিপুল জয়লাভ করেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ। তবে তারপর থেকেই দুজনের বন্ধন একটু একটু করে একদা হতে শুরু করে। শেষমেষ ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূলে যোগদান করেন সৌমিত্র-জায়া। আর তারপর গত জানুয়ারিতেই বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ বিবাহবিচ্ছেদের মামলা রুজু করেন বাঁকুড়া জেলা আদালতে। এই মামলার শুনানিতেই শুক্রবার জেলা আদালতে পৌঁছান সুজাতা দেবী। আর আদালত থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক দাবি করেন বিজেপি সাংসদের দিকে আঙুল তুলে।
এদিন আদালত থেকে বেরিয়ে সুজাতা মন্ডল বলেন যে সৌমিত্র খাঁ নাকি শিলিগুড়ির এক বিজেপি নেত্রীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। আর সেই কারণেই তাদের মধ্যে নাকি বেড়েছিল দূরত্ব। তিনি বলেন, “আমি বেঁচে থাকতে থাকতে অন্য একজনের সঙ্গে ঘর করছে ও।” এই কথায় প্রাক্তনের প্রতি অনেকটা অনুরাগের সুরও ধরা দেয় তার গলায়। যদিও সুজাতার কথায় বিন্দুমাত্র বিচলিত হতে দেখা যায়নি সৌমিত্র খাঁ’কে। তিনি যে থেমে থাকতে রাজি নন, তা জানিয়ে দিলেন এদিনই। বিজেপি সাংসদ বলেন, “জীবন থেমে থাকে না। কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। মানুষের মূল উদ্দেশ্য কাজ করা।”
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ১ জুলাই সুজাতা মন্ডলকে বিয়ে করেন। কিন্তু তারপর এখন বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন তারা দুজনেই। মিউচ্যুয়াল ডিভোর্সের মামলা চলছে জেলা আদালতে। এর মাঝেই সংবাদমাধ্যমের সামনে ব্যক্তিগত কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি জারি রয়েছে দুই তরফ থেকেই। কয়েকদিন আগেই সুজাতা দাবি করেছিলেন যে তার প্রাক্তন স্বামী নাকি চোখে গ্লিসারিন নিয়ে মিডিয়ার সামনে নাটক করেন।