Sukanya Mondal: ফাঁস হয়ে গেল অনুব্রত তনয়া সুকন্যা মণ্ডলের কুকীর্তি!
বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গরু পাচার মামলায় গতকাল সকালেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডেকে পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। এই প্রথম নয়, গরু পাচার মামলায় এর আগেও একাধিকবার তলব করা হয় অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে। তবে বারেবারেই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। অবশেষে বুধবার দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেন সকুন্যা। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া উত্তরে সন্তুষ্ট না হয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
সূত্রের খবর, সুকন্যা মন্ডলের বিপুল সম্পত্তির হদিস পেয়ে তার সূত্র জানতেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর জিজ্ঞাসাবাদের পরেই তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি। কিন্তু ঠিক কি কি সম্পত্তির হদিস মিলেছে সুকন্যা দেবীর থেকে? দেখুন বিস্তারিত।
● সুকন্যার নামে জমি: এর আগে অনুব্রত মন্ডলের নামে ২৪০ কাঠা জমির নথি সামনে এনেছিলেন গোয়েন্দারা। তবে এবার তার কন্যার নামে ১২০ কাঠা জমির হদিস মিলেছে বলে সূত্রের খবর। জানা গেছে, এই সমস্ত জমি বীরভূমের মধ্যেই রয়েছে, আর বেশিরভাগ জমি ফাঁকা পড়ে আছে। আর বাবা ও মেয়ের এই মোট জমির বাজারমূল্য ২৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।
● বেনামি জমি: অনুব্রত, তার মেয়ে সুকন্যা এবং স্ত্রীয়ের নামে যত জমি কেনা হয়েছিল, তার থেকে বেশি জমি বেনামে কেন হয়েছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। জানা গেছে, এই সমস্ত জমি ২০১৪ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে কেনা হয়। এমনকি ২০১৪ সালে একই দিনে সুকন্যার নামে ৭ টি আলাদা আলাদা জমি রেজিস্ট্রি হয় বলেও খবর।
● ফিক্সড ডিপোজিট: ইডি সূত্রে জানা গেছে, অনুব্রত মন্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের নামে ব্যাংকে একটি ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটও রয়েছে।
● চাকরির সূত্র: এসবের পাশাপাশি স্কুল শিক্ষিকা সুকন্যা দেবীর চাকরি পাওয়া নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে বলে অনুমান ইডির। কারণ যে স্কুলে তিনি চাকরি করতেন, সেই স্কুলে না গিয়েও মাসের পর মাস বেতন অইয়ে গেছেন তিনি। তার তার এই চাকরি নিয়ে একটা সন্দেহ দানা বাঁধছে গোয়েন্দাদের মনে।
● গরু পাচারের যোগসূত্র: আর এইসব সম্পত্তি যে সৎভাবে হয়নি, তা কিছুটা স্পষ্ট। কারণ সুকন্যা দেবী একজন সামান্য স্কুল শিক্ষিকা। তার সমস্ত বেতন জমিয়েও এই বিপুল সম্পত্তি কেনা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগাল হোসেন, তাঁর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারি। তাদের জেরা করে গ্রেফতার করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তবে তার জন্য বহুকাঠখড় পোড়াতে হয় ইডিকে। এরমধ্যেই সুকন্যা মাণ্ডলকে জেরা করেছিল ইডি। তারপর গতকাল সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করল ইডি।