whatsapp channel

Income Tax: গৃহবধূ হয়েও এই কাজগুলি করলেই দিতে হবে ট্যাক্স, কড়া নির্দেশিকা আয়কর দপ্তরের

যারা ঘর সামলান তারাই হলেন গৃহবধূ (Housewife/Homemaker)। মূলত ঘর সংসার সামলান স্ত্রী, মা, ঠাকুমা, দিদারা। রান্না, ঘর পরিষ্কার, জামা কাপড় কাচা, বাজার ঘাট করা, ছেলে মেয়েদের স্কুল দেওয়া নেওয়া থেকে…

Avatar

Susmita Kundu

Advertisements
Advertisements

যারা ঘর সামলান তারাই হলেন গৃহবধূ (Housewife/Homemaker)। মূলত ঘর সংসার সামলান স্ত্রী, মা, ঠাকুমা, দিদারা। রান্না, ঘর পরিষ্কার, জামা কাপড় কাচা, বাজার ঘাট করা, ছেলে মেয়েদের স্কুল দেওয়া নেওয়া থেকে শুরু করে ঘরের যাবতীয় কাজ করেন একজন গৃহবধূ, এরপরে এই মানুষটিকে আইটিআর ফাইল করতে হবে? এটা কি বাধ্যতামূলক? নাকি ভুয়ো?

Advertisements

আইটিআর ফাইল কারা করেন? যারা ব্যবসায়ী ও চাকুরীজীবী তারাই আইটিআর ফাইল করেন। এটা হল ট্যাক্স প্রদান করা। যা উপার্জন হচ্ছে, সেই অঙ্ক একটি নির্দিষ্ট সীমা পার করলে সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয় বা কর দিতে হয়। এদিকে, চলতি বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বেতনভুক কর্মচারীদের আয়কর রির্টার্ন জমা করার নির্দেশ দিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডায়রেক্ট ট্যাক্স। এক্ষেত্রে, গৃহিণীরাও কিন্তু এই ট্যাক্সের আওতায় আসছেন। কিভাবে?

Advertisements

আয়কর দফতরের সূত্র অনুযায়ী, গৃহবধূরা ‘অন্যান্য উৎস থেকে আয়’ করতে পারেন। যেমন, কেউ ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ নিতে পারেন মাসে মাসে বা বছরে। অথবা নিজের নামে জমি বাড়ি আছে যেগুলো তিনি ভাড়া দেন, এবং সেখান থেকে উপার্জন করেন। যদি এই ধরনের উৎস থেকে আয় সরকার নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে, তাহলে একজন গৃহিণীকেও আইটিআর ফাইল করতে হবে।

Advertisements

এক্ষেত্রে আপনি ভাবতে পারেন যে স্বামী বিদেশে থাকে এবং প্রতিমাসে মোটা অঙ্কের টাকা স্ত্রীর ব্যাংকে পাঠান। এক্ষেত্রে কি সেই স্ত্রীকে ট্যাক্স দিতে হবে? উত্তর হল – না। এটার আয়ের উৎস হল স্বামীর উপার্জন। বাড়ির বউরা চাকরি বা ব্যবসা না করলেও বিভিন্ন উৎস থেকে টাকা পেতে পারেন, সেটা হতে পারে ফিক্সড ডিপোজিট, সম্পত্তি থেকে পাওয়া টাকা, ৫০ হাজারের বেশি দামের উপহার। যদি কোনো গৃহিণী ঘরের কাজের পাশাপাশি ব্যবসা ও চাকরি করে থাকেন তাদের অবশ্যই ITR Filing করতে হবে। যদিও, ২০২৩ এর নিয়ম অনুযায়ী, যাদের বার্ষিক উপার্জন ৩ লাখ পর্যন্ত, তাদের ট্যাক্স স্ল্যাব শূন্য। যাদের উপার্জন ৩ থেকে ৬ লাখের মধ্যে, তাদের ৫ শতাংশ। ৬ থেকে ৯ লাখের জন্য ১০ শতাংশ, ৯ থেকে ১২ লাখের জন্য ১৫ শতাংশ ও ১৫ লাখের উপরে ৩০ শতাংশ। এই হল কর ব্যবস্থার নতুন নিয়ম। এক্ষেত্রে আরো একটি ব্যাপার জানা দরকার, জীবনী বিমা প্রিমিয়ামে যদি আপনি বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার বেশি করেন, তাহলে ১ লা এপ্রিল ২০২৩ থেকে তা করের আওতায় পড়বে।

Advertisements
whatsapp logo
Advertisements