Chicken Price: এবার থেকে জমে যাবে দুপুরের লাঞ্চ, ইলিশের পাশাপাশি হুড়মুড়িয়ে দাম কমলো চিকেনের
মুরগি মাংস খেতে বেশ। নরম, তেল চর্বি কম, তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়। স্টু, কষা, চিলি চিকেন, ভর্তা, ফ্রাই যেকোনো রেসিপির জন্য চিকেন জাস্ট ফাটাফাটি। কিন্তু, এই চিকেনের দাম যদি হুহু করে বাড়ে তাহলে চিকেন প্রেমীদের জন্য খুবই কষ্টের। চড়া দাম দিয়ে মটন খাওয়া তো সম্ভব নয়, তাছাড়া মতন হল রেড মিট, স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ ভালো নয়। তাই সবকিছু মিলিয়ে চিকেন দুর্দান্ত। যদিও আজকাল খুব কম মানুষ দেশী মুরগি খান, বেশিরভাগ বিক্রি হয় পোল্ট্রি মুরগি। সুগুনা মুরগির দাম অনেক, তাই এই মাংস মানুষ কম করে কেনে আর হাতে গোনা কিছু মানুষ খায়। এমত অবস্থায় মুরগির দাম বাড়লে চিন্তার ভাঁজ পড়ে সাধারণ মানুষদের কপালে।
বিগত কিছু দিন বা মাস ধরে চাল, সবজি আর চিকেনের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে দাঁড়ায়। টম্যাটো আর লঙ্কার দাম বাজারে আগুন। যদিও লঙ্কার দাম কমেছে এখন, কিন্তু টম্যাটো ধরা যাচ্ছে না। এদিকে চালের দামও বাজারে কমতে শুরু করেছে। মোদী সরকার চাল রপ্তানি বন্ধ করেছেন, শুধুমাত্র বাসমতি রাইস বাইরে যাবে, নয়তো দেশের চাল আর বাইরে যাবে না। এতে করে চালের দাম কমলেও, কমছে না কিছু সবজির দাম।
এই মুহূর্তে বাজারে অবশ্য মাংসের দাম কিছুটা কমেছে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত খাসীর মাংসের দাম ছিল কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। পাল্লা দিয়ে মুরগির মাংসের দামও বাড়ে। কলকাতা ও তার আশেপাশে ২২০ টাকার নিচে মাংস বিক্রি হয়নি। সুগুনা চিকেন নিতে গেলে সেই দাম শুরু হয় ২৫০ টাকা কেজি দরে।
এবারে স্বস্তির খবর এই যে দাম কমেছে কিছুটা লঙ্কার, চালের ও মুরগির মাংসের। এই সময় কলকাতা ও শহরতলী এলাকায় মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি দরে। তাহলে, এবার হয়ে যাক চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন ভর্তা, চিলি চিকেন বা মাংসের টলটলে লাল ঝোল।