নব্বইয়ের দশকে হঠাৎই সঙ্গীত জগতে আবির্ভাব ঘটেছিল ফাল্গুনী পাঠক (Falguni Pathak)-এর। গুজরাটি মেয়ে ফাল্গুনী পরতেন পুরুষদের মতো পোশাক। তাঁর চুলের ছাঁট, হাব-ভাব ছিল ছেলেদের মতো। কিন্তু তাঁর কন্ঠস্বর ছিল ততোধিক মিষ্টি। মূলতঃ গুজরাটের পরিসরে নবরাত্রির গান গাওয়ার জন্য বিখ্যাত ছিলেন ফাল্গুনী। কিন্তু ‘ইয়াদ পিয়া কি আনে লাগি’, ‘তুনে পায়ল যো ছনকাই’ ইন্ডিপপের জগতে বিখ্যাত করে তুলেছিল ফাল্গুনীকে। নব্বইয়ের দশক জুড়ে শুধুই ছিলেন ফাল্গুনী। তাঁর গানের রোম্যান্টিক আবহ স্পর্শ করেছিল আবালবৃদ্ধবনিতাকে। কিন্তু বর্তমানে ‘রিমেক কুইন’ নামে পরিচিত নেহা কক্কর (Neha Kakkar)-এর কন্ঠে নিজের গানের রিমেক শুনে রীতিমত বিরক্ত হলেন ফাল্গুনী।
সম্প্রতি ফাল্গুনীর গাওয়া বিখ্যাত গান ‘সজনা’-র রিমেক করেছেন নেহা। ইতিমধ্যেই এই গানটি রিমেক করে নেটিজেনদের বিরাগভাজন হয়েছেন তিনি। উপরন্তু ইন্সটাগ্রামে ফাল্গুনীও একটি পোস্টের মাধ্যমে জানালেন, নেহার কন্ঠে এই গান তাঁর পছন্দ হয়নি। তবে তা আকারে-ইঙ্গিতে। ফাল্গুনী নেটিজেনদের সমালোচনামূলক কমেন্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন ইন্সটাগ্রামে। স্ক্রিনশটগুলিতে নেটিজেনদের একাংশের অভিযোগ, নেহা তাঁদের শৈশবের আবেগ নিয়ে ছেলেখেলা করছেন।
View this post on Instagram
অনেকে আবার লিখেছেন, নেহা অবিলম্বে অটো টিউনের অত্যাচার বন্ধ করুন। ফাল্গুনী স্ক্রিনশটগুলি শেয়ার করার ফলে নেটিজেনরাও মনে করছেন, নেহার গান পছন্দ হয়নি ফাল্গুনীরও। ফলে তিনি এভাবেই নিজের গানকে নষ্ট করার প্রতিবাদ করেছেন। এর আগেও নেহা বহু গান রিমেক করেছেন যার ভিউজ মিলিয়নের উপর হয়েছে। তবে তাঁকে ‘রিমেক কুইন’ বা ‘অটোটিউন কুইন’ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
নেহার কেরিয়ার সম্পর্কে নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, এভাবে বলিউডে সত্যিই কি নিজের স্থান করতে পারবেন তিনি?
View this post on Instagram