সুমন মুখোপাধ্যায় (Suman Mukherjee) পরিচালিত ফিল্মের সংখ্যা যথেষ্ট কম হলেও তাঁর প্রত্যেকটি ফিল্ম যথেষ্ট সফল। দীর্ঘদিন পর আবারও বাংলা ফিল্ম পরিচালনায় ফিরছেন সুমন। তবে মাঝে হিন্দি ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজ তৈরি করেছিলেন তিনি। এমনকি অভিনয় করেছিলেন থিয়েটারেও। তবে এবার আবারও বাংলা ফিল্ম পরিচালকের ভূমিকায় ফিরছেন সুমন।
View this post on Instagram
কলকাতা ছেড়ে মুম্বইয়ে স্থায়ী ভাবে থাকতে শুরু করেছেন সুমন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (Manik Bandyopadhyay)-এর জনপ্রিয় উপন্যাস ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ অবলম্বনে ফিল্ম তৈরি করতে চলেছেন সুমন। 2008 সাল থেকে এই ফিল্মের ভাবনা-চিন্তা শুরু করলেও উপন্যাসের স্বত্ত্ব ও বাজেটের কারণে অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এই ফিল্মটি প্রযোজনা করছেন ‘ক্যালাইডোস্কোপ’-এর কর্ণধার সমীরণ দাস (Samiran Das)। মূল উপন্যাসের সময়কালকে ফিল্মে পরিবর্তন করেছেন সুমন। তাঁর তৈরি ফিল্মে তিনেক দশকের শেষ দিক থেকে চারের দশকের শুরুকে ধরা হয়েছে। কিন্তু উপন্যাসের সময়কাল ছিল আরও একটু পিছিয়ে। সুমনের বাবা অরুণ মুখোপাধ্যায় (Arun Mukherjee) এর আগে ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’-কে নাটকের আকারে মঞ্চস্থ করেছিলেন। সুমনের ফিল্মকে অনুপ্রাণিত করেছে এই নাট্যরূপ।
View this post on Instagram
উপন্যাসের তিন মুখ্য চরিত্র শশী, কুসুম ও কুমুদের চরিত্রে অভিনয় করবেন আবীর চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee), জয়া আহসান (Jaya Ahsan) ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee)। ফিল্মে শশীর চরিত্র সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন সুমন। সুমনের মতে, মানিকবাবুর কলমে উঠে আসা জোরালো চরিত্রের মধ্যে অন্যতম শশী। কলকাতার বুকে পড়াশোনা করা শশী লন্ডনে গিয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে চায়। কিন্তু ঘটনাচক্রে গ্রামে আটকে পড়ে সে। জীবনের নানা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাকে।
View this post on Instagram
সুমনের মতে, গত শতকের বুদ্ধিজীবি, শিক্ষিত সমাজ নানা কারণে জীবনের সঙ্গে সমঝোতা করলেও মুখ ফুটে তা কখনও বলেনি। চুপ থেকেছে সামাজিক অবনমন সম্পর্কেও। যার ফলস্বরূপ বর্তমানের ধর্মীয় উন্মাদনা, স্বৈরতন্ত্রের উত্থান। শশীর চরিত্রটি সুমনের কাছে ইন্টেলেকচুয়াল ফেলিওর-এর প্রতীক কারণ তার যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ছিল, তা নিতে সে ব্যর্থ হয়।