বাঙালী বৈদ্যব্রাহ্মণের মেয়ে বলে কথা আর তিনি কিনা ঘুড়ি ওড়াতে পারবেন না তাও সম্ভব! কথা হচ্ছে সেন পরিবারের মেয়ে সুস্মিতা প্রসঙ্গে। বন্ধুদের সঙ্গে দেদার ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন এই সুন্দরী। দুই মেয়েকে নিয়ে ছাদের সঠিক ব্যবহারে মত্ত সুস্মিতা, অন্যদিকে প্রেমিক রহমান শল ক্যামেরায় প্রতিটা মুহূর্ত বন্দী করতে ব্যস্ত।
দূরে আকাশে মিলিয়ে যাচ্ছে সুস্মিতার ঘুড়ি, লাটাই তাঁর হাতে। ‘ভো কাট্টা’ বলে আনন্দের উল্লাস চিৎকার পাশাপাশি মিলিয়ে যাচ্ছে মিস ইউনিভার্সের স্বপ্নের ঘুড়ি। জীবনের সমস্ত স্বপ্নও তিনি এইভাবে বিলিয়ে দিয়েছেন খোলা আকাশে। মিস ইউনিভার্সের মুকুট জয়ের পর একটি কন্যা সন্তান দত্তক নিয়ে নিজের ইমেজকে অন্য স্তরে পৌঁছে দিয়েছেন। এখনও অবিবাহিত। অথচ মন দিয়েছেন একজনকে। জীবনের সমস্ত শখ পূরণ করার পরেও লাটাই তিনি তাঁর নিজের হাতেই রেখেছেন।
এদিন সুস্মিতা তাঁর ভো কাট্টার মিষ্টি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন,‘দুনিয়ার সব থেকে খুশি মহিলা আমি।’ হ্যাঁ, খুশি তো অবশ্যই উনি। যেই মায়ের পাশে অমন সন্তান থাকে সে খুশিতে নাচবে, গাইবে আরও অনেক কিছু। এদিকে সুস্মিতা সেনের বড় মেয়ে রেনে ২০২০ তেই বলিউডে পা দিয়ে ফেলেছেন। মাত্র ২১ বছর বয়সেই কোমড় বেঁধে নেমে পড়ছেন শ্যুটিং-এর কাজে। তাঁর ছবির নাম ‘সুতাবাজি’। বড় মেয়ের পছন্দ অভিনয় করা, তাই মাও চেষ্টা করছেন বলিউডের সুতো মেয়ের হাতে ধরিয়ে দেওয়া বাকিটুকু সে নিজেই করে নেবে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে কলকাতা এসেছিলেন অভিনেত্রী। কলকাতার রাস্তায় মাটির পাত্রে চা পান থেকে শুরু করে স্ট্রীট ফুড দেদার এঞ্জয় করেছিলেন তিনি। অবশ্য করবেন নাই বা কেন? বোনের বিয়ে বলে কথা। সেইজন্যেই পরিবার সমেত সুদূর মুম্বাই থেকে কোন্নগরে এসে উপস্থিত হন সুস্মিতা সেন। সেজেগুজে তাঁকে বোনের বিয়েতে আনন্দ করতেও দেখা যায়। আসল কথা হল, গ্ল্যামার জগতের সঙ্গে মিশে থাকলেও পরিবারকে কখনো দূরে সরিয়ে রাখেননি প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা দেন।