Mithun Chakraborty: দল ছাড়লেও সম্পর্ক হয়নি অতীত, কার সাথে গোপনে যোগাযোগ রাখছেন মিঠুন চক্রবর্তী!
রাজ্যে বেজে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা। গ্রাম বাংলায় নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম করে ভীত শক্ত করতে মরিয়া শাসক থেকে বিরোধী সব দলগুলিই। আর সেই লক্ষ্যে একদিকে যেমন ‘দিদির দূত’ হয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণমূলের তারকা ও নেতা নেত্রীরা, অন্যদিকে এই বিষয়ে পিছিয়ে নেই গেরুয়া শিবিরও। পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে বঙ্গ রাজনীতিতে তাদের এবারের তুরুপের তাস ‘মহাগুরু’। তারকা মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) জনপ্রিয়তা গ্রামাঞ্চলে বেশি। তাই গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রচার শুরু করে হুঙ্কার দিচ্ছেন ‘ফাটাকেষ্ট’। তবে এর মাঝেই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) মন্তব্য যেন ওলটপালট করেছে সব সমীকরণ।
সম্প্রতি, গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ করছে বিজেপি। আর তাদের এই কাজে বিশেষ দায়িত্ব পালন করছেন বলিউডের ‘ডিস্কো ড্যান্সার’। নিজের পরিচিত বাচনভঙ্গি দিয়েই বঙ্গবাসীর মন জয় করতে চাইছেন তিনি। এর মাঝেই একাধিকবার মিঠুনকে বলতে শোনা গেছে যে তার সাথে অনেক তৃণমূল বিধায়কের যোগাযোগ আছে। তিনি খোলামঞ্চে এও জানিয়েছেন যে সময় এলে সব প্রকাশ পাবে। আর তার এই কথা গত বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার হিড়িকের কথা মনে করিয়ে দেয়। যদিও এবার তার জালেই তাকে ফাঁসালেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খোলেন ফিরহাদ হাকিম। তার দাবি, খোদ মিঠুন চক্রবর্তী নাকি নিজেই তার সাথে যোগাযোগ রাখছেন। তিনি বলেন, “মিঠুন’দা তো আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, যাতে দিদি রেগে না যান। মিঠুন’দা তো নিজেই চাইছেন তৃণমূলের সঙ্গে গন্ডগোল করে লাভ নেই। কিছু কারণবশত বিজেপিতে গিয়েছেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। উনি তো নিজেই বলছেন যে, তৃণমূল না রেগে যায়।” আর তার এই কথা ‘মহাগুরু’র দলবদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
যদিও বিজেপি এই বিষয়টিকে পাত্তা দিতে নারাজ। বরণ এটিকে ঘিরে পাল্টা নিশানা সাধিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের অন্যান্য নেতারা। এই প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, ফিরহাদ নাকি শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এ সব কথার কোনও মানে নেই। তৃণমূলে প্রাসঙ্গিক থাকার মরিয়া চেষ্টায় এ সব বলতে হচ্ছে ফিরহাদকে।” এদিকে এই প্রসঙ্গে পাল্টা তোপ দেগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তাঁর কাছে কী প্রমাণ আছে? যা খুশি বলে প্রাসঙ্গিক থাকতে চাইছেন উনি।”