whatsapp channel

মাত্র ২ টাকা দিয়ে শুরু করে এখন একশত কোটি টাকার মালিক!

কোনো বিদেশের ঘটনা নয়, খোদ ভারতের মাটিতেই লিখিত হয়েছে এই স্বপ্নপূরনের কাহিনী, যদিও এটি কোন গল্প নয়, বাস্তব গল্প মনে হতে পারে শুরু থেকে শেষ। তবে এটা কোনও গল্প নয়।…

Avatar

HoopHaap Digital Media

Updated on:

কোনো বিদেশের ঘটনা নয়, খোদ ভারতের মাটিতেই লিখিত হয়েছে এই স্বপ্নপূরনের কাহিনী, যদিও এটি কোন গল্প নয়, বাস্তব গল্প মনে হতে পারে শুরু থেকে শেষ। তবে এটা কোনও গল্প নয়। সমাজের পিছিয়ে পড়া আদিবাসী এক মহিলার জীবনের লড়াইয়ের কাহিনী। যিনি জীবনে শত বাধা সত্ত্বেও উঠে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন।

শুধু নিজের জন্য নয়, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে এগিয়ে এসেছেন। কিশোরী বয়সে মাত্র দুই টাকা রোজে দিন শুরু করে এখন তিনি কোটি টাকার মালিক, অন্যতম মহিলা উদ্যোক্তা। তিনি কল্পনা সরোজ। ভারতের মহারাষ্ট্রের আকোলা জেলায় একটি ছোট গ্রাম রূপরখেড়ায় ১৯৬১ সালে এক দলিত পরিবারে তার জন্ম। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়,

১২ বছর বয়স হতে না হতেই কল্পনার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর কল্পনা চলে যান মুম্বাই। তবে শ্বশুরবাড়িতে ভালো পরিবেশ ও খাওয়া পাওয়া তো দুরের কথা, কল্পনার উপরে রীতিমতো অত্যাচার করা হতো। এই অবস্থা ছয় মাস চলার পরে তার বাবা মেয়েকে নিয়ে গ্রামে ফিরে যান। তবে কোনও মেয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে ফিরে এলে সেইসময়ে গ্রামের সমাজ তাঁকে ভ্রুকুটি দৃষ্টিতে দেখত।

কল্পনার সঙ্গেও সেটাই হয়েছিল। কল্পনার মনে হয়েছিল, জীবন যেন তাঁর থমকে গিয়েছে। আগে যাওয়ার রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। একদিন দুঃখে বিষ কিনে ফুপুর বাড়ি চলে যান কল্পনা। ১৬ বছর বয়সে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও ফুপু দেখতে পেয়ে কল্পনাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করেন। কল্পনা বেঁচে যান। সেদিন থেকে কল্পনার মনে হয়, নতুন জীবন পেয়েছেন তিনি।

এই জীবনকে ভালো কাজে লাগিয়ে বড় হওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। সেলাইয়ের কাজ জানায়, পরিবারের মদতে ফের মুম্বাই চলে যান একটি মিলে কাজ করতে শুরু করেন। দিনে দুই টাকা মজুরি পেতেন। তাই দিয়ে শুরু। এভাবেই কিছুদিন চলার পরে বেশ কিছু সেলাই মেশিন কিনে নেন কল্পনা। ব্যবসা করবেন তা ঠিক করেই ফেলেছিলেন। এভাবেই নিজে কিছু করার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছিলেন।

প্রথমে ঋণ নিয়ে আসবাবপত্রের ব্যবসা শুরু করেন। পরে বিউটি পার্লারের ব্যবসা করেন। পরে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসাও করে অনেক টাকা লাভ করেন। এভাবেই চলছিল। কামানি টিউবস নামের একটি কোম্পানির কর্মীরা ২০০০ সালে কল্পনা সরোজের কাছে গিয়ে সংস্থা চালানোর কথা বলেন। কারণ তার আগের কয়েকবছরে সংস্থার ব্যবসা পুরো ধসে গিয়েছিল। মালিককে সরিয়ে কর্মীদের মালিকানা দেওয়া হয়েছিল।

তবে তারা কোম্পানি চালাতে পারেননি। ব্যাঙ্ক থেকে অনেক ঋণ নিয়ে ফেলেন। ফলে কল্পনা বিষয়টি শুনেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ঋণ মকুবের আবেদন করেন। ও ব্যাঙ্কের সব টাকা ফেরত দেবেন বলে আশ্বাস দেন। আদালত কল্পনাকে ৭ বছরের সময় দেয়।

তবে কল্পনা ১ বছরে সকলের টাকা ফিরিয়ে দেন। তখন তিনি মালিকানা পেয়ে যান কামানি টিউবসের। এভাবেই দুই টাকা দিয়ে শুরু করে ১০০ কোটি টাকার বেশি সংস্থার মালিক হয়ে গিয়েছেন কম্পনা। ২০১৩ সালে ভারত সরকার কল্পনাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করেছে। ভারতীয় মহিলা ব্যাঙ্কের বোর্ড অব ডিরেক্টর্সে তিনি রয়েছেন।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media