পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গার্ল ফ্রেন্ড অর্পিতা। এখন এটাই তার পরিচয়। আরও দুটি পরিচয় গড়ে উঠেছে সদ্য, সেটি হল চোর এবং পাহাড়াদার। যেই পরিচয় ভালোবেসে পার্থ উপহার হিসেবে দিয়েছেন টলিউডের প্রাক্তন অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে।
ইডি (ED) হেফাজতে জেরার মুখে আছেন অর্পিতা। মানুষ ইতিমধ্যে চোর, পাহাড়াদার, অভিনেত্রী না ছাই, পার্থর ইন্টু পিন্টু, সেক্স টয় ওয়ালি ইত্যাদি নানান নাম জুড়ে দিচ্ছে অর্পিতার আগে পিছে। বেচারি ইডি র গাড়ি থেকে নামতেই চায়নি। কান্নায় ভেঙে পড়ে। তার একটাই কথা – ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কর্মীরা এসে ফ্ল্যাটে টাকা রেখে যেত। টাকা রাখছে জানতাম, কত টাকা রাখা হচ্ছে জানতাম না।’ তিনি কি সত্যি কিছু জানতেন না? অথচ তার বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় আরো কোটি কোটি টাকা, সোনার মূর্তি। শান্তিনিকেতনে ‘অপা’ বাড়ি। একাধিক ফ্ল্যাট, দামী শাড়ি, সোনার হিরের গয়না, দামী গাড়ি, বেনামী সম্পত্তি ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখন সে শূন্য। কিছুদিন আগে পর্যন্ত কোটি কোটি টাকার মালকিন ছিলেন অর্পিতা। ছিলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ সঙ্গী। কিন্তু, একেবারে প্রথম দিকে কি ছিলেন অর্পিতা? কী কাজ করতেন? কত টাকা উপার্জন করতেন?
স্বপ্ন ছিল বাংলা সিনেমার নায়িকা হওয়ার। কিন্তু, হতে পারেননি। তবে, ‘মামা ভাগ্নে’, ‘পার্টনার’ সহ বেশ কিছু বাংলা সিনেমাতে সহ অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। কিছুদিন আগে প্রযোজক রানা সরকার বলেন তার কোনো একটি গল্পে অর্পিতা কাজ করেছিলেন।এছাড়াও এক সময়ে ওড়িশা সিনেমায় অভিনয় করেছেন অর্পিতা। তবে, নায়িকা হওয়ার সুযোগ করে দেন গৌতম সাহা। এই গৌতম সাহার হাত ধরেই একবার এক বাংলা সিনেমার নায়িকা হয়েছিলেন এবং পারিশ্রমিক হিসেবে ৫ লাখ টাকা পেয়েছিলেন। ‘হৃদয়ে লেখো নাম’ নামক ছবি দিয়ে স্বপ্ন পূরণ হলেও শেষে সিনেমা জগৎ থেকে পুরোপুরি সরে আসেন এবং গৌতম সাহার সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয়।
