ভালো মন্দ, হাসি কান্না মিলিয়েই সম্পর্ক (Relationship Tips)। দুটো মানুষ যখন একটি সম্পর্কে থাকে তখন একে অপরের ইচ্ছা অনিচ্ছা, ভালোলাগা মন্দ লাগার দিকে একটু নজর দিয়ে চলতে হয়। না হলেই শুরু হয় অশান্তি, মনোমালিন্য। আর ছোটখাটো অশান্তিই এক সময়ে সম্পর্ক ভাঙার পেছনে মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে সব সম্পর্কেই এমন মান অভিমান, ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকে। তার মধ্যে দিয়েই খুঁজে নিতে হয় সুখী সম্পর্কের মন্ত্রটি। সেই মন্ত্রটি হাতে চলে এলেই সম্পর্কের চাকা গড়াবে মসৃণ ভাবে।
যেকোনো সম্পর্কেই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরকে সময় দিলে সম্পর্কে বোঝাপড়া থাকে। তাই দৈনন্দিন ব্যস্ততার মাঝেও সঙ্গীর জন্য কিছুক্ষণ সময় বের করে নেওয়া জরুরি। সেই সময়টুকু থাকুক শুধু দুজনের জন্য। একে অপরের সঙ্গে সারাদিনের কথা শেয়ার করে নেওয়ার মধ্যেই রয়েছে সুস্থ সম্পর্কের চাবি। অনেকের মধ্যেই একটা কর্তৃত্বের স্বভাব থাকে। নিজের মতামত অন্যের উপরে চাপিয়ে দেন তারা। এতে সম্পর্ক নষ্ট হয়। সঙ্গীর কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনে তার মতামতটাও গ্রহণ করতে হয়। সম্পর্কে দুজনের সমান অবদান থাকা উচিত।
সম্পর্কে ছোটখাটো বিষয়গুলির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। মনের ভালোবাসা মুখেও প্রকাশ করা দরকার। ছোটখাটো সারপ্রাইজ দেওয়া, একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার মতো বিষয়গুলি সম্পর্কে গুমোট ভাব আনতে দেয় না। সঙ্গীর মনের হদিশ নিয়ে তার ছোট ছোট ইচ্ছে গুলো পূরণ করার চেষ্টা করুন।
কথায় বলে, ভালোবাসার মানুষের কাছে ধন্যবাদ জানানোর প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু মাঝে মধ্যে সঙ্গীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও ধন্যবাদ বলা উচিত। এতে প্রিয় মানুষটার মনে আন্তরিকতার সঞ্চার হয়। একে অপরের সঙ্গে যত বেশি সময় কাটাবেন ততই সম্পর্কের ভিত মজবুত হবে। একসঙ্গে বাড়ির কাজ বা প্রিয় কাজও করতে পারেন। এতে একে অপরকে চেনার ক্ষমতাও বাড়বে। এই টিপস গুলি মেনে চললেই সুখ শান্তি ফিরবে সম্পর্কে।