Ration Shop: রেশনে দোকানে কারচুপি রুখতে ‘অন-স্পট’ এই কাজগুলি করলেন খোদ খাদ্যমন্ত্রী
ভারতের প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে রেশন কার্ডের অধিকার। দেশে খাদ্যাভাব দূর করতে এই ব্যবস্থার সূচনা ঘটে স্বাধীনতার পরেই। আর এই রেশন কার্ড রয়েছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তি মাসে মাসে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন। রেশন কার্ড থাকলে সেই কার্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয় স্থানীয় রেশন দোকান থেকে। তবে সবার ক্ষেত্রে সমান খাদ্যদ্রব্য বণ্টন করা হয় না। কোন গ্রাহক কত পরিমানে খাদ্য শস্য পাবেন তা ঠিক হবে তাঁর রেশন কার্ডের উপর।
দেশের রেশন ব্যবস্থা চালু রাখতে বেশ কিছু অনুমোদিত দোকান থেকে এই রেশন প্রদান করা হয় গ্রাহকদের। লাইনে দাঁড়িয়ে কিংবা কার্ড জমা দিয়ে রেশনের সামগ্রী সংগ্রহ করতে হয় নাগরিকদের। তবে এক্ষেত্রে কার্ড অনুযায়ী আলাদা আলাদা হয় বরাদ্দকৃত রেশনের পরিমাণ। যেমন বিপিএল বা অন্নপূর্ণা যোজনার অধীনে যেসব নাগরিকরা থাকেন, তারা এপিএল কার্ড হোল্ডারদের তুলনায় কম রেশন পেয়ে থাকেন। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণ রেশন সামগ্রী পাওয়া সব নাগরিকদের অধিকার।
আর এবার রাজ্যের রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে উদ্যোগী হল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। এবার খাদ্যমন্ত্রী নিজে থেকে মাটিতে নেমে সরজমিনে বেশ কিছু রেশন দোকানের বন্টন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন। সোমবার রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বারাসতের বেশ কিছু রেশন দোকানে ঘুরে দেখেন। সেখানের একাধিক দোকানে ঢুকে তিনি গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের অভিযোগ শোনেন নানা বিষয়ে। এছাড়াও সব অভিযোগ শুনে ডিলারদের সামনেও এসব অভিযোগ তুলে রাখেন খোদ খাদ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের তরফে এই বিষয়ে স্বচ্ছতা আনতে একটি পরিকল্পনা চালু করা হয়। ‘উপভোক্তা সম্পর্ক অভিযান’ চালু হয়েছে কিছুদিন আগেই। আর এই অভিযানের পথে পা বাড়িয়ে দিন রাস্তায় নামেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী। এদিন প্রথমেই তিনি বারাসতে ডাকবাংলো মোড় সংলগ্ন কনজিউমার কো-অপারেটিভের ৮ নম্বর রেশন দোকান পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি গ্রাহকদের অভিযোগ শোনেন। এছাড়াও এদিন খাদ্যমন্ত্রী বারাসতের অশ্বিনিপল্লির ৫০ নম্বর রেশন দোকানেও যান এবং সবার অভাব অভিযোগ শোনেন।