Digha: দীঘার সামুদ্রিক মাছ-কাঁকড়ায় বিশেষ নিয়ন্ত্রণ সরকারের! যাওয়ার আগে জেনে নিন এই বিষয়টি
শীতের ছুটিতে দু’দিনের ছোট্ট ট্যুর হোক বা বিশেষ কোনো মুহূর্তের উদযাপন, বাঙালির কাছেপিঠের গন্তব্য হয় একটাই। আর সেটা হল দীঘা (Digha)। অনেকে আবার ঝাউবনের মৃদু বাতাসে উনুন জ্বালিয়ে বনভোজন করতেও বেছে নেন দীঘাকে। আবার অনেকেই রয়েছেন ভোজনরসিক, যারা সামুদ্রিক মাছ ও কাঁকড়ার রসনাতৃপ্তির উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন বাংলার এই সমুদ্র সৈকতে। তবে উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, দীঘা সমুদ্র সৈকত বাঙালির মনে যেন একটা আলাদা জায়গা পায়।
দীঘায় যেমন রয়েছে শান্ত সমুদ্রের নাতিশীতোষ্ণ নোনা বাতাসের সরগম, তেমনই সেই সমুদ্র সৈকতে রয়েছে মৎস্যলালসা নিবারণের উপায়। দীঘার বিস্তীর্ণ বালিয়াড়ি জুড়ে রয়েছে বহু সামুদ্রিক মাছ ও কাঁকড়ার খুচরো স্টল। যে স্টলে গেলেই খুব কম দামে উদরাভিরাম হয় বাঙালির। তবে এবার অনেকেরই এই রসনাতৃপ্তির শখে পড়তে পারে ছেদ। কারণ, সামুদ্রিক খাদ্যের গুণগত মান নির্ণয়ে এবার চরম তৎপর হয়েছে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর। এই বিষয়ে নজরদারি চালাতে সম্প্রতি নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার ফুড সেফটি অফিসাররা দীঘা সমুদ্রেরতটের দোকানগুলিতে বিশেষ অভিযান চালান। জানা যায়, এই বিশেষ অভিযানে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের অফিসার সাকির হোসেনের সঙ্গে হাজির ছিলেন দপ্তরের আধিকারিক রনিতা সরকার সহ অন্যান্যরা কর্মকর্তারা।
খাদ্য দপ্তরের এই বিশেষ অভিযানে যেমন খাবারের গুণগত মান পরীক্ষা করা হয় ওই খুচরো স্টলগুলিতে, তেমনই ছড়িয়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু সচেতনতামূলক বার্তা। খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা দোকানদার ও ব্যবসাদারদের খাবারে রং ব্যবহারে নিষিদ্ধতা সম্পর্কে যেমন ওয়াকিবহাল করেন, তেমনই খাবারে ‘ফরমালিন’ ব্যবহার না করা এবং পুরানো তেল ব্যবহার না করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও দোকানদারদের ‘অ্যালার্জেন’ সম্পর্কে বিশেষভাবে সচেতন করেন খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, সম্পূর্ণভাবে করোনা অতিমারীকে জয় করে এবছর যেন বিশেষ স্বাধীনতা পেয়েছে মানুষজন। তাই শীতের শুরু থেকেই ভিড় বাড়ছে দীঘায়। এই ভিড় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ অব্দি থাকবে বলে আশা পর্যটন দপ্তরের। আর এই ভিড়ে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই এই বিশেষ পদক্ষেপ বলে জানা গেছে।